তৃণমূলের মিশন দিল্লির পদে পদে বাঁধা। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন আগে ট্রেন বাতিল করেছিল। এবার বিমানও বাতিল করল। কিন্তু সত্যিই কি তৃণমূলের লোকজন যাতে দিল্লিতে যেতে না পারেন সেকারণে বিমান বাতিল করা হয়েছিল? এনিয়ে এবার বিবৃতি জারি করেছে ভিস্তারা বিমান সংস্থা।
শনিবার রাতে ভিস্তারা বিমান সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে, ভিস্তারা ফ্লাইট UK747 এটা কলকাতা থেকে পোর্টব্লেয়ার যাওয়ার কথা ছিল। আর ফেরার ফ্লাইটটি UK787 ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল। কিন্তু পোর্ট ব্লেয়ারে খারাপ আবহাওয়ার জন্য এই বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই দুই শহরে অপেক্ষারত যাত্রীদের জন্য একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিমান সংস্থার মুখপাত্র এই বিবৃতি জারি করেছে।
কিন্তু তার জন্য কলকাতা থেকে দিল্লির ফ্লাইট কেন বাতিল করা হল?
অতিরিক্ত ফ্লাইটের বন্দোবস্ত করার জন্য দিল্লি থেকে কলকাতাগামী ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কলকাতা থেকে দিল্লিতে ফেরার ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে। জানিয়েছেন ভিস্তারা।
তবে ভিস্তারার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরের ফ্লাইটে তাদের ব্যবস্থা করা হতে পারে। অথবা রিফান্ডের ব্যবস্থা করাও হতে পারে। এই পরিষেবাতে বিঘ্ন ঘটায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিমান সংস্থা।
এদিকে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন লিখেছিলেন, প্রথমে ওরা কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য স্পেশাল ট্রেন বাতিল করেছিল। ২রা অক্টোবর ও ৩রা অক্টোবরের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তাদের আটকাতে স্পেশাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১০০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। সেটা আদায়ের দাবি তুলতেই দিল্লি যাওয়ার কর্মসূচি। তবে এবার একটা বিমানও বাতিল করা হল। যত খুশি চেষ্টা করে যান। আমরা আপনাকে দেখাবই।
তবে একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছিলেন তিনি। সেখানে লেখা রয়েছে ফ্লাইট UK738। রবিবার ১ অক্টোবর সন্ধ্যে ৬টা ৪৫ এর বিমান ছাড়ার কথা ছিল। সেটা বাতিল করা হয়েছে। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, অপারেশনাল রিজন।
তবে তৃণমূলের এই নালিশ প্রসঙ্গে বিজেপির দাবি, বেসরকারি বিমান বাতিল হবে কি হবে না সেটা তো সংশ্লিষ্ট সংস্থার ব্যাপার। তার সঙ্গে সরকারের কী সম্পর্ক!
তবে এবার ভিস্তেরার পক্ষ থেকে আসল ব্যাপারটি সামনে আনা হল।