মুখ্যমন্ত্রী হলে ৬ মাসের মধ্যে রাজ্যকে বদলে দেব। বিধাননগরের EZCC-তে ABVP-র অনুষ্ঠানে যোগদান করে এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজ্যে সিস্টেমে পচন ধরেছে। আর তাকে মেরামতের একমাত্র উপায় গণআন্দোলন।
এদিন মিঠুন বলেন, ‘কোনও প্রজন্মকে শেষ করতে গেলে আগে শিক্ষাকে শেষ করো। এই মুহূর্তে রাজ্যের কোনও ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না। রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে গেলে পরিবর্তন করতে হবে। সেটা ঠিক করবে মানুষ। আর যদি রাজনৈতিক দল বলতে বলেন, তাহলে আমি বলব বিজেপি’।
রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের নীরবতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলায় যখনই কোনও ঘটনা ঘটেছে আমরা কিন্তু জেগেছি। তার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু এখন আমরা প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছি। কারণ যারা প্রতিবাদের সামনে থাকেন তাদের আত্মা বিক্রি হয়ে গেছে। তাদের আত্মা মরে গেছে কি না জানি না। মরে গেলে আর জাগবে না। পড়াশুনো করা লোকেদের আবার কী আবেদন করব? তারা তো সব জেনে শুনে করছেন’।
রাজ্যের বর্তমান অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘নিজের রাজ্যকে এই অবস্থায় দেখলে খুব হতাশ লাগে। মনে হয় কিছুই করতে পারছি না। আমাদের রাজ্যের গোটা সিস্টেম দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। তাই দু-চারটে কোন নেতা ধরা পড়ল তাতে কিছু যায় আসে না। যখনই সিস্টেম দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে তখনই হয়েছে গণআন্দোলন। গণআন্দোলন যেদিন হবে সেদিনই জানবেন এরাজ্যের কিছু হবে। সেজন্য সাবইকে এক হতে হবে। সেজন্য এই পার্টি করি বলে ওকে ছোঁব না, এসব করলে হবে না। কেউ বলেনি আপনি নিজের পরিচয় ভুলে আমার সাথে হাত মেলান। প্রতিবাদের – প্রতিবাদের জায়গাতে একসাথে হাত ধরতে হবে’।
এর পরই এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, ১ দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করে দিলে আপনি কী করবেন? জবাবে মিঠুন বলেন, ‘৬ মাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করলে আমি রাজ্যটাকে বদলে দেব’
এর পর মিঠুন বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, এখনো কি পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষের মধ্যে আছে? আমাদের দেশ যদি ফেডারেল গভর্নমেন্ট চালিত হয় তাহলে আপনি কেন আইন, আদালত, আদালতের রায়কে সম্মান করেন না। সংবিধান ছাড়া কোনও দেশ হতে পারে না। সংবিধান থাকলে এসব হচ্ছে কেন’?