নানা টালবাহানার পর জটিলতা কাটিয়ে আজ, বুধবার বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়। আজ রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন। বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হলেও কেটে গিয়েছে ২৪ দিন। প্রায় একমাস তিনি শপথ নিতে পারেননি। এবার বিধানসভার সদস্য হিসেবে বাবুল সুপ্রিয় শপথ নিলেন। বাবুলের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে পথ চলা শুরু হল বাদল দিনেই।
ঠিক কী ঘটেছে বিধানসভায়? আজ, বুধবার ১২টা নাগাদ বিধানসভায় শপথ নেন বালিগঞ্জ কেন্দ্রের নির্বাচিত সদস্য বাবুল সুপ্রিয়। রাজ্যপাল বনাম বিধানসভার অধ্যক্ষের সংঘাতের জেরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল শপথ নিয়ে। অবশে্যে সেই জটের অবসান হল বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে। তিনি নমনীয় হয়ে বৃহত্তর স্বার্থে সংঘাতের পথ থেকে সরে আসেন। তিনি ডেপুটি স্পিকারকে শপথ পাঠ করাতে নির্দেশ দেন। যে নির্দেশ এসেছিল রাজভবন থেকে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে শপথবাক্য পাঠ করালেন ডেপুটি স্পিকারই।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসের ১২ তারিখে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হয়। আর ১৬ এপ্রিল ফল ঘোষণা হয়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের জন্যই বালিগঞ্জের নির্বাচকমণ্ডলী বিধায়কের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল। কারণ, রাজ্যপাল শপথগ্রহণ স্থগিত রেখে বিধানসভার অন্যান্য বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন। তখন রাজ্যপালের ভূমিকার কড়া নিন্দা করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ পড়ানোর দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। তা নিয়েও জট পেকেছিল। অবশেষে আজ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল।
এখন দেখার বিষয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে মন্ত্রিসভায় কোন মন্ত্রী করা হয়। কারণ বাবুল নিজে বলেছিলেন, তিনি ভাল সুযোগের জন্য বিজেপি ত্যাগ করেছেন। সেই ভাল সুযোগ ঠিক কী? এবার বোঝা যাবে। তাছাড়া সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বিধায়ক তিনি। তিনি বলেছিলেন, বাংলার জন্য কিছু করতে চান। তাই দিদির ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।