সিঙ্গুর মামলায় বেকসুর খালাস হলেন বেচারাম মান্না–সহ ৩১ জন। আজ, বুধবার তাঁদেরকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় বিধায়ক–সাংসদের আদালত। সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের সময় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল মন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং চাষিরা ইচ্ছেকৃতভাবে গণ্ডগোল করেছিলেন। দীর্ঘদিন এই মামলা চলছিল। মোট ৬৮টি মামলা থেকে মুক্তি পেলেন তাঁরা।
ঠিক কী ঘটেছিল সিঙ্গুরে? ২০০৬ সালে সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীর গাড়ির কারখানা তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। এই জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আন্দোলনই রাজ্য–রাজনীতিতে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন বেচারাম মান্না–সহ অনেকে। এই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে দায়ের হয়েছিল মামলা।
কী বলেছেন বেচারাম মান্না? এদিন তিনি রায় শোনার পর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে মোট ৬৮টি মামলা ছিল। সবই থেকেই মুক্তি মিলেছে। সিঙ্গুরে আন্দোলনের সময়ে আমাদের একটা বড় অংশকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তারা সবাই আজ এসেছিলাম। আমরা যে নির্দোষ তা প্রমাণিত হল। জমি অধিগ্রহণ ন্যায়সঙ্গত হয়নি তাও প্রমাণিত হল। কেবলমাত্র একটি মামলাই আর রয়ে গিয়েছে। তাতে যাঁরা অভিযুক্ত রয়ে গিয়েছেন, আশা করব তাঁরাও দ্রুত বিচার পাবেন।’
আজ, বুধবার সিঙ্গুরের ঘটনার যাবতীয় মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন বেচারাম মান্না–সহ মোট ৩১ জন। এখন বেচারাম মান্না রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনি শ্রমমন্ত্রী। তাই এই রায় শোনার পর তৎকালিন বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেন তাঁরা। ৩৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। মৃত্যুও হয় কয়েকজনের। ৩১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। সব সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণের পর বেচারাম মান্না–সহ ৩১ জনকে সব মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হল।