অলিম্পিক্সে ভিনেশ ফোগটের বহিষ্কারের নেপথ্যে কি ‘সর্বোচ্চ স্তরে অন্তর্ঘাত’ হয়েছে? চক্রান্ত করে মহিলাদের ৫০ কেজি ফ্রিস্টাইল ফাইনালের আগেই তাঁকে বাতিল করে দেওয়া হল? এমনই প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণল ঘোষ। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বুধবার বেলা ১২ টা নাগাদ ভিনেশকে বহিষ্কার করে দেওয়ার (নির্ধারিত সীমার থেকে ১০০ গ্রাম বেশি ওজন আছে) খবর সামনে আসার পরে তৃণমূল নেতা বলেন যে 'ভিনেশ ফোগট এমনিতেই বাতিল হল, নাকি ও পদক জিতলে মোদী কোম্পানির মুখ পুড়ত, তাই সর্বোচ্চ স্তরে অন্তর্ঘাত হল? রহস্য থাকছে।' যদিও বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার বা বিজেপির তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
মোদী সরকারকে আক্রমণ বিরোধীদের
এমনিতে মঙ্গলবার প্যারিস অলিম্পিক্সে নেমেই ‘রাউন্ড অফ ১৬’-র ম্যাচে টোকিয়ো অলিম্পিক্সের সোনাজয়ী ইউই সুসাকিকে হারানোর পরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে বিরোধীরা। ধাপে-ধাপে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে পৌঁছানোর পরে সেই আক্রমণ আরও জোরালো হয়ে ওঠে।
কারণ গত বছর ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের তৎকালীন সভাপতি তথা বিজেপির সাংসদ (সেইসময় সাংসদ ছিলেন, এখন নেই) ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমেছিলেন ভিনেশরা। তাঁরা রাস্তায় ধরনায় বসেছিলেন। পরবর্তীতে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় থেকে নিয়ে গিয়েছিল। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। যা নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরা।
২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি কী হয়েছিল?
ব্রিজভূষণের পদত্যাগের দাবি তুলে দিল্লির যন্তর মন্তরে জড়ো হয়েছিলেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সের ব্রোঞ্জজয়ী বজরং পুনিয়া, ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক্সের ব্রোঞ্জজয়ী সাক্ষী মালিক-সহ অনেক কুস্তিগির। তারইমধ্যে কুস্তিগিররা দেখা করেছিলেন তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা তদন্ত করে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। তারপরে বিক্ষোভ কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয়েছিল।
২০২৩ সালের মে'তে কী হয়েছিল?
নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে দিনে 'সংসদ ভবন অভিযান'-র ডাক দিয়েছিলেন ভিনেশরা। সেইসময় তাঁদের টেনেহিঁচড়ে আটক করেছিল দিল্লি পুলিশ। যে দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মোদীর 'ডানহাত' অমিত শাহের হাতে। যেভাবে ভিনেশ, সাক্ষীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিল মোদী সরকার।