অবশেষে পরিষেবা শুরু করতে চলেছে কলকাতা মেট্রো। রবিবার NEET পরীক্ষার্থীদের জন্য এবং সোমবার থেকে সকলের জন্য ছুটবে মেট্রোরেল। সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়াতে টোকেন আর চলবে না। তার জায়গায় অনলাইনে বিশেষ পাসের ব্যবস্থা করেছে মেট্রো। এবং স্মার্ট কার্ড তো রয়েছেই। সেটিও অনলাইনে রিচার্জ করার সুবিধা এনে দিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আর সেই সুযোগেই এবার শহর জুড়ে শুরু হয়েছে অভিনব জালিয়াতি।
বিগত কয়েকদিন ধরে নতুন এই জালিয়াতির অভিযোগ পড়তে শুরু করেছে ব্যারাকপুর, বিধাননগর কমিশনারেট এবং কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানায়। সকলের একইরকম অভিযোগ। মেট্রোর তরফ থেকে নাম ভাড়িয়ে প্রতারক ফোন করে বলছে, ‘আপনার স্মার্ট কার্ডটি এখনই রিচার্জ করতে হবে। না হলে সেটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনলাইনে ঘরে বসেই এখন রিচার্জ করা সম্ভব।’ যদিও সবার মেট্রো স্মার্ট কার্ড না থাকায় সব ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কাজ করছে না। কিন্তু যাঁদের স্মার্ট কার্ড রয়েছে তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে, যে তাঁরা কত টাকার রিচার্জ করাতে চান। এর পরই পাঠানো হচ্ছে একটি কিউআর কোড। আর সেটি কোনও পেমেন্ট অ্যাপ দিয়ে স্ক্যান করলেই প্রতারিত হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। মেট্রো স্মার্ট কার্ড রিচার্জের উদ্দেশ কিউআর কোড স্ক্যান করলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫, ১০, ১৫ হাজার টাকা বা তারও বেশি অর্থরাশি উধাও হয়ে যাচ্ছে।
কলকাতার বাসিন্দা এক প্রতারিত মহিলার সঙ্গে যা ঘটেছে তা একটু অন্যরকম। তাঁর দাবি, মেট্রোর কার্ড রিচার্জ করানোর জন্য যে ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে সে ওই মহিলার এটিএম কার্ডের ১৬টি সংখ্যা বলে দেয়। সেটি কনফার্ম করার জন্য ওই ১৬টি সংখ্যা থেকে এটিএম কার্ডের পিন নম্বর বিয়োগ করে তার ফলাফল বলতে বলা হয়। ঠিক তার পরই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ‘বিয়োগ’ হয়ে যায় ৩০ হাজার টাকা।
এক পুলিশ আধিকারিকের অভিযোগ, এত প্রচারের পরও মানুষ একই ভুল করছে। কিআর কোড স্ক্যান করার আগে কত টাকার লেনদেন হতে চলেছে সেটা ঠিক মতো দেখা উচিত। কলকাতা মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মেট্রোর অ্যাপ রয়েছে, ওয়েবসাইট আছে। অনলাইনে সেখানেই স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করা যায়। রিচার্জ করাতে মেট্রোর তরফ থেকে কোনও ফোন করা হয় না।