পুজোর আগেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করবে। এরজন্য প্রথম দফায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে বরাদ্দ সেই টাকা জেলাশাসকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য যারা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের একাংশের আবেদনপত্র যাচাইয়ের কাজ হয়ে গিয়েছে। আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শেষ হলে প্রথম পর্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১ কোটি ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৮টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সেই সব আবেদনপত্র যাচাইয়ের কাজ চলছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে ২ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সব থেকে বেশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই জেলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এভাবে প্রতিটি জেলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। পিছিয়ে থাকা জেলা মুর্শিদাবাদের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, গত ১৬ আগস্ট থেকে সারা রাজ্য জুড়ে দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হয়। সেই দুয়ারে সরকার প্রকল্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য ফর্ম বিলি শুরু হয়। প্রথম থেকেই এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ফর্ম পেতে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মহিলারা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা করে পাবেন। অন্যদিকে এসসি, এসটি সহ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মহিলারা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ হাজার টাকা করে পাবেন।