প্রথমবার ১৫ হাজার টাকা। পরেরবার ২৫ হাজার টাকা। এটিএম কার্ড দিয়ে দু’দফায় অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হয়েছে টাকা। অথচ পিন কারোর জানা নেই। সঙ্গে সঙ্গে যাদবপুর থানায় যান তিনি। জানতে পারেন, তিনি একা নন, গতকাল থেকে একই কায়দায় ২০ জনেরও বেশি লোকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। তাৎপর্যের বিষয়, প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত যাদবপুর থানায় এরকম ২২টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
শহরে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি নতুন নয়। একাধিকবার গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। তবে একসঙ্গে এতজনের টাকা হাতানোর ঘটনা কখনও সামনে আসেনি বলে বক্তব্য সংশ্লিষ্ট মহলের। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল পর্যন্ত ১৪টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। আজ ফের নতুন করে দায়ের হয়েছে অভিযোগ।
একসঙ্গে এতগুলি অভিযোগ জমা না পড়লেও গত বছর শহরেই একই কায়দায় টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। পরে তদন্তে জানা যায়, মূলত শহরের নিরাপত্তাহীন এটিএমগুলিকে টার্গেট করে সেখানে স্কিমার লাগিয়ে রাখত একটি চক্র। তা থেকে তথ্য হাতিয়ে ক্লোন এটিএম কার্ড তৈরি করত। তারপর দিল্লিতে গিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত। সেই ঘটনায় পুলিশের জালে ধরাও পড়ে দুই রোমানিয়ান ব্যক্তি। সেরকম কোনও ডিভাইস লাগিয়ে টাকা হাতানো হয়েছে কি না, তার খোঁজ করতে যাদবপুরের একাধিক এটিএমে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু, সেখানে কোনও ডিভাইসের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, এবারও দিল্লির এটিএম থেকেই টাকা তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের খবর দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত লালবাজারের গোয়েন্দারাও।