বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > মোমিনপুর হিংসায় NIA তদন্তের নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

মোমিনপুর হিংসায় NIA তদন্তের নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।  (PTI)

রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনার রিপোর্ট নিয়ম মেনে কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে তারা। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মোমিনপুরে NIA তদন্ত প্রয়োজন কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, NIA তদন্ত হচ্ছে।

আদালতের নির্দেশে রাজ্যের পাঠানো রিপোর্ট বিশ্লেষণের পর মোমিনপুর হিংসায় NIA-তদন্তের নির্দেশ দিফতর স্বরাষ্ট্র দফতর। শুক্রবার রাতে টুইট করে একথা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। বুধবারই এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

লক্ষ্মীপুজোর রাতে ও তার পরের দিন কলকাতার মোমিনপুরে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ায়। আগুন দেওয়া হয় একাধিক দোকানে। ভাঙচুর করা হয় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল। হামলায় আহত হয়ে কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এক পুলিশ আধিকারিকরে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তাতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

মোমিনপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নেতৃত্বে রেখে সিট গঠন করে। কারা এই হামলায় যুক্ত তা খুঁজে বার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলে আদালত। সঙ্গে তাদের উদ্দেশ কী ছিল তাও জানতে বলেন বিচারপতি। একই সঙ্গে আদালত জানায়, আপাতত মোমিনপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দরকার নেই। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনার রিপোর্ট নিয়ম মেনে কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে তারা। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মোমিনপুরে NIA তদন্ত প্রয়োজন কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, NIA তদন্ত হচ্ছে।

এদিন অমিতাভবাবু তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘স্বরাষ্ট্র দফতরের নির্দেশে মোমিনপুর কাণ্ডের তদন্তভার নিল NIA.’

বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতা পুলিশের কমিশনার জানান, এই ঘটনায় পুলিশ ৪৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের তৎপরতার জন্যই ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়নি। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি। তাদের দাবি, ঘটনার সময় এলাকার বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে দিয়ে হামলাকারীদের সুবিধা করে দিয়েছে পুলিশই। সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে মোমিনপুরে ছড়িয়েছে সাম্প্রদায়িক হিংসা।

 

বন্ধ করুন