নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে লাগাম টানাতে এবার সব জেলার নজরদারি কেন্দ্র তৈরি করবে নবান্ন। এই কেন্দ্রের আধিকারিকরা নিয়মিত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের উপর নজর রাখবেন। দেশ জুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভিন্ন দাম সংক্রান্ত নীতি গৃহীত হয়েছে। সেই নীতি অনুসারে এই নজরদারি কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হচ্ছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, চাল, ডাল, তেল, নুন, আটা, আলু, পেঁয়াজের মতো ২২ টি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের উপর নজরদারি চালানো হবে এই কেন্দ্রগুলি থেকে। প্রতিটি কেন্দ্রে ক্রেতাসুরক্ষা আধিকারিকদের নিয়ে একটি পরিদর্শক দল থাকবে। তাঁরাই বাজার ঘুরে ঘুরে দামের উপর নজর রাখবেন। নিয়মিত রাজ্য সরকারকে রির্পোট পাঠাবেন। রাজ্য আবার সেই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠাবে।
ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের অধীনে ইতিমধ্যেই ৭টি জেলায় এই ধরনের নজরদারি কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। বাকি ১৬টি জেলাতে দাম নজরদারির কেন্দ্র তৈরির জন্য নবান্ন থেকে নির্দেশ গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, একই এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের তারতম্য প্রায়শই লক্ষ্য করা যায়। এর জন্য ক্রেতাকে হায়রানির শিকার হতে হয় প্রায়শই। অর্থাৎ নিজের ঘরের কাছে বাজারে আলু-পিঁয়াজ বা অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর যা দাম, কয়েক পা হেঁটে নিকটবর্তী বাজারে গেলে দেখা যায় সেই জিনিসই কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। দামের এই তারতম্য দূর করতেই নিয়মিত নজরদারি চালাবে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে প্রতিনিধিরা। এর ফলে জিনিসপত্রের দামকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। এ ছাড়া বাজারে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে, যাদের জন্য দামে এই তারতম্য তৈরি হয়। তাদের চিহ্নিত করবে এই সব কেন্দ্রের নজরদারি দল।