খুব গরম লাগছে রাজ্যবাসীর। দহন জ্বালায় জ্বলছে শহর থেকে গ্রামবাংলা। অথচ ক্যালেন্ডার জানাচ্ছে, এটা জুন মাস। তাহলে তো বর্ষা আসার সময় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির তো দেখা নেই। যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরের উত্তরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ওই নিম্নচাপের জেরেই রাজ্যে বর্ষার আগমণে গতি আনবে। বর্ষা আসতে আর দেরি নেই বাংলায়। এবার আগেভাগেই রাজ্যে ঢুকে পড়তে পারে বর্ষা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ১১ জুনের আগে–পরেই বর্ষার অনুকূল দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলায় প্রবেশ করবে। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, সিকিম, বিহার এবং ছত্তিশগড়ের একাংশেও ঢুকবে বর্ষা। যার প্রভাবে পূর্ব ভারতের এই রাজ্যগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে জৈষ্ঠ্যেই ভরা বর্ষার অনুভব মিলবে বাংলায়। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস বলেন, ‘নিম্নচাপের হাত ধরেই বর্ষা আসবে বাংলায়। ১১ তারিখ নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। তারপরই চলে আসবে বর্ষা।’ উল্লেখ্য, কলকাতায় বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১০ জুন। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্যে নির্ধারিত সময়েই ঢুকবে বর্ষাকাল। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রির কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২৮ ডিগ্রির কাছাকাছি। গুমোট গরমে অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যবাসীর।
কেরলে নির্ধারিত সময়ের দু’দিন পরে বর্ষা ঢুকেছে। জুন মাসের ১ তারিখে কেরলে বর্ষা ঢোকার কথা। বাংলায় শুক্রবার বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। বরং জলীয় বাষ্পের জন্য অস্বস্তি বেড়েছে। প্রচণ্ড ঘাম হচ্ছে। তাতে আরও অতিষ্ট হওয়ার জোগাড়। কেরলের হাত ধরে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বর্ষা এলেও দেখা মেলেনি বাংলায়। তবে জুলাই মাসের শুরুতেই গোটা দেশে বর্ষা চলে আসবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।