শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে পা রাখার পর দ্রুত এগোচ্ছে বর্ষা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোটা রাজ্য চলে এল মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে। শনিবার মৌসম ভবন থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে বিহারের ভাগলপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমিবায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা। যার জেরে আগামী কয়েকদিন নাগাড়ে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুসারে মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা গত কয়েকদিনে অগ্রসর না হলেও বঙ্গোপসাগরীয় শাখা এগোচ্ছে দ্রুত গতিতে। যার জেরে ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র ছাড়িয়ে ছত্তিসগড়, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের একাংশে বর্ষা প্রবেশ করেছে।
বর্ষার শুরুতেই মৌসুমিবায়ু সক্রিয় থাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস। গতকাল বর্ষার প্রথম দিনে আলিপুরে ৫১.১ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। ডায়মন্ড হারবারে ৩০.৬ মিমি, দিঘায় ১২.৭ মিমি, মেদিনীপুরে ১৮.২ মিমি, বর্ধমানে ৫৭ মিমি, কৃষ্ণনগরে ১৩.২ মিমি, বহরমপুরে ১৩ মিমি, শ্রীনিকেতনে ১১.৫ মিমি ও দার্জিলিংয়ে ৭৬.৮ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।
চলতি বছর নির্ধারিত সময় ১ জুন বর্ষা ঢোকে কেরলে। কলকাতায় বর্ষা যদিও ঢুকেছে ৩ দিন পর। সাধারণত কলকাতায় ৮ জুন বর্ষা ঢোকে। এবার ঢুকেছে ১২ জুন। চলতি মরশুমে স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। যাতে করোনা আবহের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তিতে চাষিরা। তবে গত বছর স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাতের ব্যাপক ঘাটতি ছিল। ক্ষরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কয়েকটি জেলায়।