শহর কলকাতায় সাত সকালে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ যাওয়া যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছে। কখনও প্রাণ যাচ্ছে রাতের ডিউটি সেরে ফেরা পুলিশকর্মীর। কখনও মর্মান্তিক পরিণতি হচ্ছে স্কুলে সন্তানকে দিতে যাওয়া বাবা মায়ের। মঙ্গলবার সকালেও তেমন একটা দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল মহানগর। বেপরোয়া সরকারি বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল এক খুদে স্কুল পড়ুয়ার মায়ের। যাদবপুরের এই ঘটনায় বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নিহত মহিলার নাম দেবশ্রী মণ্ডল। তিনি সন্তোষপুর এলাকার বাসিন্দা। সবে স্কুলে ভর্তি হয়েছে তাঁর আড়াই বছরের মেয়েকে। মঙ্গলবার সকালে মেয়েকে নিয়ে স্কুটারে চড়ে স্কুলে দিতে যাচ্ছিলেন দেবশ্রীদেবী। স্কুটার চালাচ্ছিলেন তাঁর স্বামী। যাদবপুর এইট বি বাস স্ট্যন্ডের কাছে স্কুটারটিকে বেপরোয়াভাবে ধাক্কা দেয় এস ৩১ রুটের একটি বাস। স্কুটার থেকে ছিটকে পড়েন দেবশ্রীদেবী। এর পর তাঁর ওপর দিয়ে চলে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্বামীকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
ঘটনার জেরে এইট বি চত্বরে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ পৌঁছে ঘাতক বাসটিকে আটক করতে পারিনি। সম্প্রতি বেপরোয়া বাস নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন পরিবহনমন্ত্রী। দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশের পরও এই মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠছে, নির্দেশ কি আদৌ কার্যকর হচ্ছে। না কি জনরোষ রুখতে শুধুই শব্দবান মারছেন মন্ত্রীমশাই। সরকারি বাসের চালকের বিরুদ্ধে কি দায়ের হবে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ?