এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে সরাসরি একেবারে নাম করে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ওই নির্যাতিতা রাজ্যপালের অফিসে কাজ করছিলেন। তাঁর নিয়োগকর্তা ছিলেন বাংলার রাজ্য়পাল। সিভি আনন্দ বোস একজন নিয়োগকর্তা। তিনি রাজ্যপালও। একটি কর্মস্থলে যখন কোনও কর্মীকে শ্লীলতাহানি করা হয়, সংবিধান কর্তৃক দেওয়া তাঁর সাধারণ অধিকার লঙ্ঘিত হয়, মর্যাদা আর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়।
অপর একটি মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তৃণমূল এমপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছেন, বিশাখার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট একটি গাইডলাইন তৈরি করেছিল। বাংলার রাজ্যপাল একজন নিয়োগকর্তা হিসাবে আইনের উপরে নন। আমাদের সাংবিধানিক রীতি ও আইনের উপরে তিনি নন। কখন রাজ্যপালের অফিসকে দায়ী করা হবে বিশাখার গাইডলাইনকে ভঙ্গ করার জন্য।
এদিকে রাজভবনে এক মহিলা কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। এরপর এনিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে যায়।
এরপর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অবমাননাকর কথা বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর জেরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনি। এবার সেই মামলায় হাইকোর্ট রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রীর কথায় রাশ টানল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যাতে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা না হয় তা নিয়েই রাশ টেনেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যায় না। সোশ্য়াল মিডিয়া প্লাটফর্মের সুযোগ নিয়ে এটা করা যায় না।
হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল একটা প্রাথমিক মামলা করেছিলেন।…যদি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া না হয়, অপর পক্ষকে যদি এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য বলাল সুযোগ দেওয়া হয় তবে তিনি ( রাজ্যপাল) অপূরণীয় ক্ষতি ও আঘাতের মুখোমুখি হবেন।
কার্যত মুখ্য়মন্ত্রী সহ চারজনকে রাজ্যপাল সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছে হাইকোর্ট। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কথা বলতে পারবেন না। এটা মূলত অন্তর্বর্তী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ। আপাতত বলা হয়েছে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কুণাল ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়াও ও রিয়াদ হোসেন রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করতে পারবেন না। তবে মূল মামলার বিচার এখনও শুরু হয়নি।
তবে এবার সেই পুরনো অভিযোগের কথা তুলে ধরে রাজ্যপালকে বিঁধলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।