রাজনীতিতে সবই সম্ভব এটা খুবই চালু কথা। আর এখন এই কথার মর্মার্থ একেবারে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন বঙ্গবাসী। কিন্তু কয়েকদিন আগেই বিজেপির সঙ্গে যাঁর গলায় গলায় সম্পর্ক ছিল, তাঁকেই যদি আচমকা দেখা যায় তৃণমূলের অনুষ্ঠানে তাতে খটকা লাগে অনেকেরই। আর সেই ছবিই ধরা পড়ল এদিন। সৌজন্যে পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। এবার আসল কথায় আসা যাক। রবিবার বিকালে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী বাবুল সুপ্রিয়র সাংবাদিক বৈঠক হওয়ার কথা। তা নিয়েই প্রস্তুতি চলছিল। আচমকাই হোটেলের লবিতে সুনীল মণ্ডল। প্রথমদিকে অনেকে কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেই মাথায় আসে সেই আপ্তবাক্য, রাজনীতিতে সবই সম্ভব। এদিকে সুনীল মণ্ডলের দিকে প্রশ্ন আসতে থাকে, তিনি কি ঘরে ফিরছেন? আর এই প্রশ্নের মুখোমুখি যে হতে হবে সেটা যেন পোড়খাওয়া সুনীল মণ্ডলও জানতেন। হাসি হাসি মুখে সুনীলের জবাব, আমি তো তৃণমূলেই আছি। যোগদান করার কোনও প্রশ্ন নেই।
তবে এখানেই প্রশ্ন ওঠে এই তো কয়েক মাস আগেও মেদিনীপুর কলেজ মাঠে বিজেপির সভায় একেবারে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই দেখা গিয়েছিল সুনীল মণ্ডলকে। তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে একেবারে একযোগে মাঠে নেমে পড়েছিলেন তিনি। বিধানসভা ভোটের পরেও শিশির অধিকারী, সুনীল মণ্ডলদের সাংসদ পদ বাতিল করতে চেয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই সুনীল মণ্ডল দাবি করতে শুরু করেন তিনি নাকি তৃণমূলেই রয়েছেন। আর এখনও তিনি সেই দাবিতেই অনড়। তবে অনেকেই বলছেন বেগতিক বুঝে রাতারাতি ভোল বদলে ফেলেছেন সুনীল মণ্ডল। ওই যে কথায় আছে, রাজনীতিতে সবই সম্ভব।