অবশেষে মুকুল অস্ত্রে কুপোকাত গেরুয়া শিবির। আজ বিজেপির দাবি করা চিঠি খারিজ করে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে (পিএসি) মুকুল রায়ের মনোনয়নকে বৈধতা দিল বিধানসভার সচিবালয়। স্ক্রুটিনি পর মুকুলের নামে শিলমোহর দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আজই কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ককে সমর্থন দেওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বিজেপির দুই বিধায়ক চিঠি লিখে বিষয়টিকে অবৈধ বলে দাবি করলেও তা কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া হল।
তবে ২০ জন সদস্যদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন বিধানসভার সচিব। ওই নামের তালিকায় ২০ জনের মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের নাম। একই সঙ্গে রয়েছে বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামও। বুধবার পিএসি সদস্য পদে মনোনয়ন জমা দেন মুকুল রায়। তার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়ে যায়। ২০ সদস্যের পিএসি–তে ৬ বিধায়কের নাম দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল। ওই ৬ জন হলেন—বিবেকানন্দ বাউড়ি, অম্বিকা রায়, শুভেন্দু অধিকারী, অশোক লাহিড়ী, বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ এবং নিখিলরঞ্জন দে। পিএসি কমিটির তালিকায় তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন মুকুল রায়ও। তিনি এখনও বিজেপির বিধায়ক।
আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মনোনয়ন যে কেউ জমা দিতে পারেন। যিনি জমা দিয়েছেন, মুকুল রায়, তিনি তো বিজেপির বিধায়ক। তাঁকে বিনয় তামাংরা সমর্থন করেছেন। ভোটাভুটি হলে হবে। দেখি কার কত ক্ষমতা। মানুষের কত ক্ষমতা দেখে নেবে বিজেপি।’ স্পিকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে আগেই বিরোধী দলকে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যক্ষেত্রে তাই হল। বিজেপির আপত্তি থাকলেও মুকুলের মনোনয়ন বাতিল করলেন না অধ্যক্ষ।
মুকুল রায়ের মনোনয়ন কীভাবে গৃহীত হল? স্পিকারকে চিঠি দিয়ে তা জানতে চাওয়া হয়। ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং কালিম্পঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। রীতি অনুযায়ী বিরোধী দলের বিধায়ককে দেওয়া হয় পিএসি চেয়ারম্যানের পদ। মুকুলকে যে ওই পদে আসীন করা হতে পারে তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। কৃষ্ণনগরের বিধায়কের মনোনয়ন বাতিলের জন্য রুল নম্বর ৩০২ ধারার উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই দাবিই খারিজ করে ২০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়।