শুক্রবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। সিআইএসএফের হেড কোয়ার্টারে চিঠি লিখে তা সরিয়ে নিতে বলেন তাঁরা। আর তা প্রত্যাহার হতেই জুটে গেল রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা। হ্যাঁ, তাঁরা রায় পরিবার। রায় সাহেব হলেন মুকুল রায়। আর তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরপরই হাজির হল রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা। শুক্রবার রাত থেকেই মুকুল–শুভ্রাংশুর পাহারায় রাজ্য পুলিশ। এটা তো হওয়ারই ছিল। সময় মিলে গেল তাই ঘটল।
এই মুকুল রায় যখন বিজেপিতে যোগ দেন তখন কেন্দ্রের ‘ওয়াই প্লাস’ সিকিউরিটি পেয়েছিলেন। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেটা বাড়িয়ে ‘জেড’ ক্যাটাগরি করে দেয় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কারণ সেখানেও তিনি নিজের পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন বলে মনে করেন অমিত শাহ থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। তাঁদের মুখে বারবার সে কথা উঠে এসেছে। কিন্তু এখন সিঙ্গল ফুল ত্যাগ করে জোড়াফুলে মুকুল রায়। তাই তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহারের জন্য ডিজি সিআইএসএফকে চিঠি লিখেছেন। ‘জেড’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তায় উপস্থিত থাকতেন ২৪ জন সিআইএসএফ জওয়ান। তবে এখন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পদে থাকার জন্য মুকুল রায়ের নিরাপত্তাও বেশি ছিল। নির্বাচনের আগে সেই নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়। সল্টলেকের বিডি ৫১ বাড়িতে পুলিশের ভ্যান রয়েছে নিরাপত্তার জন্য। তারই সঙ্গে কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নিরাপত্তাকর্মীরা দায়িত্বে নিয়ে নিয়েছেন। জাতীয় স্তরে তাঁকে কাজে লাগানো হবে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুকুল রায়ই হবে তুরুপের তাস। যে ১৮টি আসন মুকুলের দৌলতে পেয়েছিল এখন তা ধরে রাখাই বিজেপির কাছে কার্যত চ্যালেঞ্জের। তাই তাঁর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে খবর।