আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির বৈতরণী পার করানোর দায়িত্ব বর্তাল মুকুল রায়ের ঘাড়ে। বৃহস্পতিবার পুরভোট পরিচালনার জন্য বিজেপির যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তার আহ্বায়ক করা হয়েছে মুকুলকে। সহ আহ্বায়ক হয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং।
এপ্রিলের মাঝামাঝি পুরভোট। তার আগে ঘর গোছাতে শুরু করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। ভোট হবে রাজ্যের ১০০-র বেশি পুরসভায়। আর তাকেই বিধানসভা নির্বাচনের স্যাম্পেল টেস্ট হিসাবে দেখছেন অনেকে। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক ১ বছর পরে পুর নির্বাচনের সাফল্যের ধারা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। তাই লোকসভা নির্বাচনের কাণ্ডারিকেই পুরভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিল তারা।
মুকুলের পক্ষে কাজ করেছে নির্বাচনী স্ট্রাটিজিস্ট হিসাবে তার ধারাবাহিক সাফল্য। তা সে তৃণমূল হোক বা বিজেপি, মুকুলের নির্বাচনী ফল সব দলেই চমকে দেওয়ার মতো। গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ২৩টি আসনের টার্গেট দিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মুকুল ১৮ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন দলকে। দক্ষিণ মালদা আর আরামবাগে কয়েকশো ভোট এদিক ওদিক হলে ২০টি আসন পেয়ে যেত বিজেপি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল শাসকদলের ফাঁকফোকোড় সব থেকে ভাল জানেন। তাছাড়া তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা অনেকেই মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। যা নির্বাচনে ব্যবহার করতে পারে বিজেপি।
তবে চ্যালেঞ্জও রয়েছে মুকুলের সামনে। তাঁর সামনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। পুরভোটের টিকিট নিয়ে বিজেপির ঘরোয়া কোঁদল চরমে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা। সেই অশান্তি সামাল দিয়ে মুকুল রায় বিজেপিকে রাজ্যে কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন সেদিকেই এখন নজর সবার।