সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালের ভরতি আছেন মুকুল রায়। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী বাড়ির বাথরুমে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা গুরুতর। নন-ইনভেনসিভ ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন। ডাক্তারদের একটা গোটা টিম তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে যে মুকুলের মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। সিটি স্ক্যান করে এমনটাই ধরা পড়েছে।
মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু বলেছেন, ‘বাবা কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে বাথরুমে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়েছিলেন। মাথায় আঘাত রয়েছে। তিনি বমি করে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। এরপরই আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম।’ পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এরপর ১১টার দিকে কলকাতার ফুলবাগানের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল রায়।
প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। কাঁচরাপাড়ায় যুগল ভবনের দোতলায় থাকেন। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, ইডি মুকুলকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছিল। এরপর বাংলার পুরনো চিটফান্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে ডাকা হলেও তিনি অসুস্থতার কারণে যেতে পারেননি। পরিবার ইডিকে চিঠি লিখে মুকুলের অসুস্থতার কথা জানিয়েছিল। এরপর ইডি আধিকারিকরাই বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন। এরপরেই গত এপ্রিলে মুকুল রায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।
গত বছর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে মুকুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা বলেছিলেন যে তাঁর মাথায় জল জমেছে এবং এই রোগটি দীর্ঘস্থায়ী। মুকুল রায় স্মৃতিভ্রংশ রোগে ভুগছেন। ডায়াবিটিসও রয়েছে।
আরও পড়ুন: (Kolkata Guest House Firing: কলকাতায় গেস্ট হাউসে বান্ধবীকে গুলি, আত্মঘাতী যুবক, কী নিয়ে ঝগড়া?)
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। সেই বছরই জুনে তিনি টিএমসিতে পুনরায় যোগদান করেছিলেন। টিএমসির 'সেকেন্ড ইন কমান্ড' ছিলেন তিনি, একসময় রাজ্য রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত নেতাদের একজন ছিলেন মুকুল রায়।