ঘরের মেঝেতে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পেলেন রাজনীতিবিদ মুকুল রায়। এই আবহে তাঁকে বুধবার রাতেই একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ মুকুল রায়। এই আবহে বাড়িতে পড়ে যেতেই তাঁকে তড়িঘড়ি কল্যাণীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মুকুল রায়কে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। সেখানে ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। প্রসঙ্গত, কাঁচরাপাড়ায় যুগল ভবনের দোতলায় থাকেন মুকুল রায়। জানা গিয়েছে, ভারসাম্য হারিয়ে নিজের ঘরেই পড়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। (আরও পড়ুন: এইমস থেকে ছাড়া পাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের হাসপাতালে ভরতি লালকৃষ্ণ আডবানি)
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে প্রয়াত হয়েছিলেন মুকুল রায়ের স্ত্রী। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়েন মুকুল রায়। সক্রিয় রাজনীতিতে মুকুল রায়কে আর দেখা যায়নি বিগত কয়েক বছরে। বহু দিন ধরে ডায়াবিটিসে ভুগছেন মুকুল। এছাড়াও ডিমেনশিয়াতেও ভুগছেন তিনি। এই আবহে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতলে ভরতি করা হয়েছিল তাঁকে। চলতি বছরেও এপ্রিল মাসে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো না করায় ক্রমশ দূর্বল হয়ে পড়ছিলেন মুকুল রায়। সেই সময় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল তাঁকে।
এদিকে রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও লোকসভা ভোটের সময় বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ মুকুল রায়ের সঙ্গে গিয়ে তাঁর বাড়িতে দেখা করে এসেছিলেন। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অজুর্ন সিং মুকুল রায়ের বাড়িতে যান। পার্থ ভৌমিকও লোকসভার ভোটের আগে মুকুল রায়কে দেখতে কাঁচরাপাড়ায় তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। মুকুলের সঙ্গে দেখা করে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছিলেন অধীর চৌধুরীও।
কংগ্রেসের হাত ধরেই নিজের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেছিলেন মুকুল রায়। পরে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল তৈরি হলে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গ নেন। এক সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। দলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড' বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। তবে দীর্ঘ দিন তৃণমূলে থাকার পরে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল। পরে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে প্রার্থী হয়ে ভোটে জেতেন। তার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন। এই সবের মাঝে লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে আচমকা তিনি দিল্লি চলে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে।