তিনি মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক। বিগতদিনে তৃণমূলের রাজনীতিতে চাণক্য় নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। তবে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। রবিবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে তাঁকে।আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি। বিশ্রামে থাকবেন। সূত্রের খবর কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস সংলগ্ন একটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে অপারেশন করে তাঁর মাথায় চিপ বসানো হয়েছে বলে খবর। ঠিক কী সমস্যা হচ্ছিল মুকুল রায়ের?
সূত্রের খবর, কিছুদিন ধরেই স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিচ্ছিল মুকুল রায়ের। মাঝেমধ্যে মস্তিস্কে জল জমছিল তাঁর। কয়েকবার সেই জল বেরও করা হয়েছিল। কিন্তু ইদানিং সেই সমস্যা বাড়ছিল। এরপর ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছিলেন চিকিৎসকরা। এনিয়ে দফায় দফায় বৈঠকও হয়। এরপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় বসেন। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাঁর মাথায় চিপ বসানো হবে। এরপর সেই অনুসারে সব দিক বিবেচনা করে এনিয়ে সিদ্ধান্ত জানান তার পরিবারের লোকজন। এরপর অপারেশন করেন চিকিৎসকরা। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই অপারেশন করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁর মাথায় চিপ বসানোর কাজ সফল হয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার রাজনীতিকে বহু উত্থান পতনের সাক্ষী মুকুল রায়। একটা সময় মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম ভরসা ছিলেন মুকুল রায়। দলকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, কোথায় ড্য়ামেজ কন্ট্রোল করতে হবে সেটাতে মুকুল রায়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে সেই মুকুলই পরবর্তীতে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু আচমকাই তারপরে তাঁকে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের শিবিরে। এনিয়ে জল্পনা কম হয়নি। তিনি কি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন?
এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা ছিল। বহুদিন ধরেই বাংলার সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি মুকুলকে। কার্যত অন্তরালেই ছিলেন তিনি। তবে মনে করা হচ্ছে অসুস্থতার জন্য তিনি আর বাইরে বিশেষ বের হতেন না। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে আপাতত কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে বিশ্রামে থাকবেন তিনি। পরে চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিলে তিনি ফের স্বাভাবিক জীবনে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ফিরে আসবেন। তাঁর সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেছেন অনেকেই।