htনদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে সিআইডির ম্যারাথন জেরার মুখে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বৃহস্পতিবার প্রায় ৩ ঘণ্টা মুকুল রায়কে জেরা করেন সিআইডির গোয়েন্দারা। বেশ কয়েকবার তলব এড়ানোর পর এদিন ভবানী ভবনে হাজিরা দেন মুকুল।
এদিন বেলা ১০.৩০ মিনিট নাগাদ ভবানী ভবনে পৌঁছন মুকুল রায়। বলে রাখি, গত কালই লাভপুরে সিপিএম কর্মী ৩ ভাই খুনের মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন তিনি। ওই মামলায় মনিরুল ইসলামের সঙ্গে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে ঢোকানো হয়েছে মুকুলের নাম। অন্যদিকে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে গতকাল জামিন পেয়েছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
এদিন বেলা প্রায় ২টো নাগাদ ভবানী ভবন থেকে বেরোন মুকুল। বেরিয়ে তিনি সাংসাবাদিকদের বলেন, ‘গোয়েন্দারা ডাকলে আমি হাজিরা দিই, পালিয়ে বেড়াই না। সত্যজিৎ খুনের উপযুক্ত তদন্ত হওয়া দরকার। সিআইডিকে দিয়ে তদন্তের নামে প্রহসন চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।’
২০১৯ সালে সরস্বতী পুজোর আগে নদিয়ার কৃষ্ণগ়ঞ্জে সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে খুন হন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। তৃণমূল জমানায় তৃণমূলেরই বিধায়ক খুনের ঘটনা সেই প্রথম। ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে। ঘটনার তদন্তে উঠে আসে নানা তত্ত্ব। চোরাপাচারকারীদের সঙ্গে শত্রুতা থেকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, কিছুই বাদ যায়নি। এরই মধ্যে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে অভিযুক্ত করে মামলা রুজু করে পুলিশ।