দলত্যাগ নিয়ে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এনিয়ে বিভিন্ন মহলে চিঠি দিয়েছিলেন। মঙ্গলবারের মধ্যেই তাঁর জবাব দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার রাতেই তিনি চিঠি দেন বিধানসভার অধ্যক্ষকে। সেখানে তিনি একমাসের জন্য সময় চেয়েছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে শিশির অধিকারীও এক মাসের জন্য সময় চেয়েছিলেন উত্তর দেওয়ার জন্য। এবার কার্যত সেই পথেই হাঁটতে চাইলেন দলত্যাগী মুকুল রায়। আসলে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধেও লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল তৃণমূল। তিনিও উত্তর দেওয়ার জন্য এক মাস সময় চেয়ে নেন। তবে মুকুল রায় কিংবা শিশির অধিকারী কী উত্তর দেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলেই।
গত ১১ই জুন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এরপরই তাঁর এই দলত্যাগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে ৬৪ পাতার চিঠি দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়েও শুনানিও শুরু হয়।
দ্বিতীয় শুনানিতে স্থির হয় ১৭ই অগস্টের মধ্যে মুকুল রায়কে উত্তর জানাতে হবে। কিন্তু সেই উত্তর দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার আগেই মুকুল রায় চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলেন উত্তর দেওয়ার জন্য এক মাস সময় দিতে হবে। তবে মুকুল রায় কী জবাব দেন সেদিকে নজর থাকার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে শিশির অধিকারী কী উত্তর দেন সেদিকেও নজর রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের।