মুকুল রায় কাদের? বিজেপির নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের? এই প্রশ্নেই দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে আজ, বুধবার জানা গেল বিজেপিতেই আছেন রায় সাহেব। দলত্যাগ করেননি কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুল রায়। বিজেপির টিকিটে এখান থেকে একুশের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। তারপর তৃণমূল ভবনে একবার গিয়েছিলেন। তা নিয়ে বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেসের টানাপোড়েন চলে। তবে দীর্ঘ শুনানির পর আজ আবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন মুকুল রায় আছেন বিজেপিতেই। শুভেন্দু অধিকারীর করা অভিযোগ খারিজ করে দিলেন তিনি। তাই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ হারানোর সম্ভাবনা রইল না।
ঠিক কী করেছিলেন মুকুল রায়? ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়। ২০২০ সালে বিজেপিতে সর্বভারতীয় সহ–সভাপতির দায়িত্ব পান। একুশের নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জয়ী হন মুকুল রায়। তারপর আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরেন। মুকুলকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই তৃণমূল ভবনে আসে এবং উত্তরীয় পরার পর থেকেই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে ময়দানে নামেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী এই নিয়ে মামলা পর্যন্ত হয়। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। কলকাতা হাইকোর্ট স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দেয়।
ঠিক কী জানান স্পিকার? এই টালবাহানা চলতে চলতে ফের শুভেন্দু অধিকারীর করা অভিযোগ খতিয়ে দেখেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতা এবং মুকুল রায়ের আইনজীবীদের যুক্তি পুনরায় শোনেন তিনি। কিন্তু তাতেও স্পিকারের সিদ্ধান্ত বদল হয়নি। আজ, বুধবার তিনি জানিয়ে দিলেন, ‘মুকুল রায় দল বদল করেননি। তিনি এখনও বিজেপিতেই আছেন।’