পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসির চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের মেয়াদ নিয়ে রায় ঘোষণা সংরক্ষিত রাখল হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শেষ হয়। তবে হাইকোর্ট আজ কোনও রায় দান করেনি।
পিএসি চেয়ারম্যান হিসাবে মুকুল রায়কে খারিজের দাবিতে বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। বিজেপি বিধায়কের আইনজীবী সি এস বৈদ্যনাথের আদালতের কাছে সওয়াল করেন, গত ৫৪ বছর ধরে বিরোধী শিবির থেকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করার প্রথা চলে আসছে। মুকুল রায় এখন তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায় পিএসি চেয়ারম্যান করে প্রথার অন্যথা করা হয়েছে। গত ২৪ অগস্ট এই মামলার যখন শুনানি হয়, তখন বিচারপতি জানতে চান, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হতে হলে কি কোনও রাজনৈতিক ছাড়পত্র লাগে? পাশাপাশি তাঁর এও প্রশ্ন ছিল, পিএসি চেয়ারম্যান কি বিরোধী দল থেকেই হন? সরকার ও মামলাকারীর আইনজীবী উভয় পক্ষের কাছ থেকেই এই বিষয়ে মতামত জানতে চান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে এই বিষয়ে আদালতের কাছে হলফনামা পেশ করা হয়েছে। হলফনামা পেশ করে জানানো হয়েছে, সংবিধানে ২১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, বিধানসভার অন্দরে কোনও বিষয় যদি বিচারাধীন অবস্থায় থাকে, তাহলে তাতে বিচারব্যবস্থার রায়ের কোনও এক্তিয়ার থাকে না। যদিও এই তৃণমূল ও মুকুল রায়ের বক্তব্য, তিনি কাগজেকলমে এখনও কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন। তাই তিনি পিএসি চেয়ারম্যান থাকলে কোনও বাধা নেই।