আবার পিছিয়ে গেল মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানির দিন। আগামী ২৮ এপ্রিল বিধানসভায় ফের হবে পরবর্তী শুনানি। আজ, শুক্রবার বিধায়ক পদ খারিজের শুনানির জন্য দু’পক্ষকেই ডেকেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী কেউ শুনানিতে আসেননি। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন দু’পক্ষের আইনজীবীরা।
ঠিক কী হয়েছে বিধানসভায়? আজ, বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে শুনানি ছিল অধ্যক্ষের ঘরে। বিধানসভায় কোন পথে আসতে হবে তা আগে জিজ্ঞাসা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখন মনে হয়েছিল শুভেন্দু আসবেন। মুকুল রায় আসবেন নাকি আসবেন না তা নিয়ে কিছু বলেননি। আর তিনি আসেননি। তবে আজ মুকুলের পক্ষে তাঁর আইনজীবী সায়ন্তক দাস হাজির ছিলেন। আর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দুই আইনজীবী— বিল্বদল ভট্টাচার্য এবং সূর্যনীল দাস হাজির ছিলেন। আর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ও উপস্থিত হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন মুকুল রায়। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি বলে বিজেপির দাবি। তখন থেকেই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তোলেন শুভেন্দু। স্পিকার বিমানবাবুর কাছে অভিযোগও করেন তিনি। কিন্তু বিরোধী দলনেতার অভিযোগ খারিজ করে দেন স্পিকার। তখন প্রথমে মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টেও যায় সেই মামলা। কিন্তু ১১ ফেব্রুয়ারি স্পিকার জানান, মুকুল রায় বিজেপিতেই রয়েছেন। কিন্তু তাতে আমল না দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি পুর্নবিবেচনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে কেন তাঁরা কেউ এলেন না তা নিয়ে কোনও জবাব এখনও সরকারি স্তরে দেওয়া হয়নি। তবে সূত্রের খবর মুকুল রায় অসুস্থ বলে আসেননি। আর শুভেন্দু অধিকারীকে যে পথ দিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের গরে আসতে বলা হয়েছিল তা তাঁর পছন্দ না হওয়ায় আসেননি। এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সাসপেন্ড হওয়ায় বিকল্প পথে বিধানসভায় আসতে বলা হয়েছিল।