প্রত্যাশামতোই পিছিয়ে গেল পুরভোট। সোমবার সর্বদল বৈঠকের পর সেকথা ঘোষণা করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে সম্ভবত ভোট হবে জুনে।
রাজ্যের পুরভোট নিয়ে সোমবার কমিশনে ছিল সর্বদল বৈঠক। তাতে হাজির ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। ছিলেন, ১০টি রাজনৈতিক দলের ২০ জন প্রতিনিধি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কী করা উচিত তা নিয়ে সমস্ত দলের পরামর্শ চান কমিশনার। প্রত্যকেই নির্বাচন স্থগিত রাখার পক্ষে সওয়াল করেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যে স্বাস্থ্যবিধি ঘোষণা হয়েছে নির্বাচন করালে তা প্রতিপদে লঙ্ঘিত হবে। যা করতে চায় না কমিশন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে কোনও নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হল প্রচার। আর সেই প্রচার করতে আয়োজন করতে হয় সভা সমাবেশের। রাজনৈতিক দলের কর্মীরা ভোটারদের দোরে দোরে গিয়ে ভোট ভিক্ষা করেন। যার ফলে যে কোনও সময় ছড়াতে পারে সংক্রমণ। আবার এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চায় না রাজনৈতিক দলগুলি। তাছাড়া আশঙ্কার আবহে বহু কর্মী বেরোতেও চাইবেন না। ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে করানো শেষ পর্যন্ত মুশকিল হয়ে পড়বে।
সূত্রের খবর, রমজানের শেষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে শুরু হবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। সেক্ষেত্রে মে-র শেষ সপ্তাহের আগে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সব নিয়ম মেনে নির্বাচন করতে হলে ভোটগ্রহণ হবে জুনের শেষে। তবে কলকাতা ও হাওড়ার পুর নির্বাচনের সঙ্গেই বাকি ১০২টি পুরসভার নির্বাচন হবে কি না, তা জানায়নি কমিশন।