কেন সব পুরসভার নির্বাচন একসঙ্গে নয়? এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল বিজেপি। তারই শুনানি ছিল আজ, সোমবার। সেখানে তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখা গেল বিজেপির আইনজীবী এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেন। সুতরাং আবেদনকারী যদি মামলা পিছিয়ে দিতে বলেন তাহলে সেটাই করা হয়। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না। বিজেপির আইনজীবীর আর্জি, এই মামলার শুনানি বুধবার করলে সুবিধা হয়। তাই পিছিয়ে গেল পুরভোটের মামলার শুনানি। তবে বুধবারই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন।
এই রাজ্যে ১১৮টি পুরসভা এবং ৭টি পুরনিগম। কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ড। রাজ্য সরকার আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল তারা কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার ভোট করাতে চায়। ১৯ ডিসেম্বর পুরসভা নির্বাচনের আর্জি জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু রাজ্যপালের সম্মতি না মেলায় শুধু কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফলে হাওড়ায় আপাতত ভোট হচ্ছে না।
এদিকে এতগুলো পুরসভায় ভোট বাকি রয়েছে। সেখানে শুধুমাত্র একটিতে কেন ভোট হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে বিজেপি আদালতের দরজায় কড়া নাড়ে। সব পুরসভায় একসঙ্গে নির্বাচনের দাবি তোলে। সেই মামলারই শুনানি ছিল আজ। যা পিছিয়ে গেল। সেটাও তাঁদের আইনজীবীর আর্জিতেই। তবে বুধবার এই শুনানি কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।
অন্যদিকে পুরভোটের নির্ঘন্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দেওয়ায় তখন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশন আজ যা করেছে আমরা তাতে ধিক্কার জানাই। তীব্র নিন্দা করছি। আমরা বিশ্বাস করি এই প্রশাসন দিয়ে, এই পুলিশ দিয়ে, এই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করা সম্ভব নয়।’