বাঘাযতীনে বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় বেআইনি বাড়ি ভাঙা নিয়ে কলকাতা পুরসভার তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারই মধ্যে মেটিয়াবুরুজে বাড়ির বেআইনি অংশ ভাঙতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন পুরসভার কর্মীরা। কলকাতা পুরসভার ১৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনায় পুর কর্মীদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। প্রশ্ন উঠছে, কেন পুরসভার কর্মীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হল পুলিশ। না কি রাজনীতির প্রচ্ছন্ন অংকে দর্শকের ভূমিকা পালন করাই ভালো বলে মনে করেছে তারা।
পুরসভা সূত্রে খবর, মেটিয়াবুরুজে ১৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ ছটাক জমিতে রয়েছে ওই একতলা বাড়ি। তার একাংশকে বেআইনি বলে ঘোষণা করেছে পুরসভা। বুধবার বিকেলে বেআইনি অংশ ভাঙতে যান কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার ১৫ নম্বর বরোর আধিকারিকরাও। পুরকর্মী ও আধিকারিকদের দেখেই হামলা চালায় ওই বাড়ির কয়েকজন বাসিন্দা। সঙ্গে ছিল স্থানীয় বাসিন্দারাও। পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকদের রীতিমতো তাড়া করেন তারা। প্রাণ বাঁচাতে এলাকা ছাড়েন পুরসভার কর্মীরা।
এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ফরিদা পারভিন বলেন, ‘আমার ছেলে অসুস্থ। তাই ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। বিকেলে ঘটনার কথা জেনেছি। মেয়র পুলিশে অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
যদিও স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, ‘এলাকায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বহুবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে জানানো হয়েছে। তিনি এব্যাপারে নির্বিকার। মেয়র তৎপর হলে এসব ঘটতই না।’