মুখ্যমন্ত্রী মুখে যতই বলুন, পশ্চিমবঙ্গে CAA লাগু হবে না। ভরসা নেই কলকাতার মুসলিমদের। আর তাই দলে দলে পুরসভায় বার্থ সার্টিফিকেট তুলতে ভিড় জমাচ্ছেন তাঁরা। কলকাতা পুরসভার একতলার যে ঘরে বার্থ ও ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয় সেখানে এখন দিনভর থিকথিক করছে ভিড়। আর তার প্রায় পুরোটাই মুসলিম জনতা। বার্থ সার্টিফিকেট জোগাড়ের এই হিড়িকে হয়রানির মুখে পড়ছেন শিশুদের বার্থ সার্টিফিকেট নিতে আসা অভিভাবকরা। নাজেহাল দশা ওই বিভাগের কর্মীদেরও।
কলকাতা পুরসভার মূল দফতর ছাড়াও বার্থ ও ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয় বরো অফিসগুলি থেকে। এতদিন পুরসভার প্রধান কার্যালয় থেকে দিনে ১০০টি করে ফর্ম দেওয়া হত। কিন্তু CAA পাশ হওয়ার পর থেকেই ক্রমশ বাড়তে থাকা লাইনের জেরে ফর্মের সংখ্যা বাড়িয়ে ২০০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তবে কর্মীর অভাবে এখনো সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়নি।
ওদিকে ১৯৫০ বা ১৯৬০ সালের জন্মের প্রমাণ খুঁজতে নাভিশ্বাস উঠছে পুরকর্মীদেরও। প্রতিটি আবেদন তদন্ত করে তবে দিতে হচ্ছে বার্থ সার্টিফিকেট। তাতে আবেদনকারীর অপেক্ষা আরও বাড়ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেকের মুখেই একই কথা, মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুন, CAA লাগু হতে দেব না। দেশের আইনকে উপেক্ষা করার উপায় নেই। তাই কাল কেউ এসে বার্থ সার্টিফিকেট দেখতে চাইলে কোথা থেকে দেখাব? তার থেকে ভাল কাগজপত্র তৈরি করিয়ে রাখি।
অনেকেরই দাবি, নিজেকে প্রত্যয়ী প্রমাণের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই CAA-র বিরোধিতা করুন। সাংবিধানিক পদে থেকে দেশের সংসদে পাশ করা আইনকে উপেক্ষা করার উপায় নেই তাঁর। তাই তাঁর ওপর ভরসা করে বিপদে পড়ার থেকে নিজের কাগজ নিজে তৈরি করে রাখা ভাল।