‘আমার নাম দুর্নীতিতে জড়ায়নি। চেষ্টা করেও জড়াতে পারবে না।’ শুক্রবার এই কথাই সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবু একটা সময়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরও সামলেছেন। এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি তাঁর মন্ত্রিত্ব থাকাকালীন হয়েছে, এমন বিষয়টি উঠে আসায় সম্প্রতি মুখ খোলেন পার্থবাবু। তবে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, ততদিন তিনি আছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
কিছুদিন আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এসএসসি দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, দুর্নীতি যা হয়েছিল, তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে। তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর দিকে দায় ঠেলে দেওয়ায় প্রশ্ন ওঠে, পার্থবাবু কী সত্যিই দুর্নীতির ব্যাপারে কিছু জানেন? স্বভাবতই এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন পার্থবাবু। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি যতদিন ছিলাম, দুর্নীতির কোনও অভিযোগ আসেনি। আমাদের দলের কোন বিজ্ঞ কী বলল, এনিয়ে কিছু বলব না। কার সময়ে হয়েছে, এটাতে আমি বিশ্বাসী নই।’ উল্লেখ্য, গতকাল দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে সেই জায়গায় সুব্রত বক্সিকে বসানো হয়। একইসঙ্গে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁকে না জানিয়ে যেন দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকা না হয়।
এদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের একটি ফেসবুক পোস্ট দলের মধ্যে নতুন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। শুধু কুণাল ঘোষই নন, দলের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারও পোস্ট করেন। কুণাল ঘোষ তাঁর পোস্টে জানিয়ে ছিলেন, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সেই আসনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাবে। অন্যদিকে অপরূপা পোস্টে ওই একই সুর ধরা পড়েছে। তবে দলের অন্যরাও কী একই রকম ভাবছেন? এই প্রসঙ্গে পার্থবাবু সরাসরি কিছু বলতে না চাইলেও তিনি জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্য চালাচ্ছেন, তাতে তিনি দীর্ঘদিনের ইতিহাস তৈরি করবেন। মমতার পর কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, বলতে পারছি না।’ একইসঙ্গে অভিষেক সম্পর্কে প্রশংসা করলেও তাঁর অভিমত, ‘অভিষেক তো আগেই বলেছিলেন, ২০ বছর সরকার নিয়ে ভাববেন না। তারপরও কেন লোকে এই ধরনের কথা বলছেন, জানি না। অভিষেক তরুণ প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ নেতা। কিন্তু মমতাকে সামনে রেখে তুলনা করা যায় না।’