গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধেছিল। একদিকে বিজেপির তরফে পুলিশি ‘অত্যাচারে’র অভিযোগ তোলা হয়েছিল। অপরদিকে বিজেপি কর্মীদের ‘তাণ্ডব’ ধরা পড়েছিল ক্যামেরায়। এই আবহে নবান্ন অভিযান নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রসচিবকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল উচ্চ আদালত। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, আজ স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে।
হাওড়া এবং কলকাতায় বিজেপির অভিযান নিয়ে দুটি পেন ড্রাইভ জমা দেওয়া হয় আজ। আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আগে পেন ড্রাইভ দেখুন প্রধান বিচারপতি, তাহলেই বুঝতে পারবেন কী ঘটেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপির কর্মসূচির নাম - নবান্ন অভিযান। নবান্নের চারিদিকে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ফলে সেখানে অবৈধ জমায়েত বা মিছিলে পুলিশ বাধা দেবে সেটাই স্বাভাবিক। শান্তিপূর্ণ মিছিলের কথা বলা হচ্ছে। প্রচুর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। ইট ছোড়া হয়েছে। ৫০ জনেরও বেশি পুলিশকর্মী জখম হন। এটাই কি শান্তিপূর্ণ মিছিলের নমুনা?’ আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে।
এদিকে আজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিপ্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলায় আগে যে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা বহাল থাকবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে নবান্ন অভিযানের পর থেকেই শাসক ও বিরোধী শিবির পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে। চলছে অভিযোগ, পালটা অভিযোগের পালা। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের জলকামান, লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাসের শেলের কারণে একাধিক কর্মী জখম হয়েছেন। মাথায় চোট পান হন বিজেপি কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিত। এর পরই পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।