লোকসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। বিজেপি বাংলায় ১২টি আসন পেয়েছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসন পেয়ে গিয়েছে। দেশে এখন এনডিএ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিজেপি ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারেনি। এই আবহে এবার ফের রাজ্য পুলিশে রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরনো পদে ফেরালেন চার পুলিশ অফিসারকে। লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এইসব পুলিশ অফিসারদের বদলি করে দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে রাজীব কুমার এখনই আসছেন না বলে সূত্রের খবর।
এদিকে কাঁথির এসডিপিও পদে ফিরে এলেন দিবাকর দাস। দার্জিলিংয়ের ডিএসপি পদে ফিরে এলেন আজহারউদ্দিন খান। বসিরহাট পুলিশ জেলার মিনাখাঁয় এসডিপিও পদে আবার নিয়ে আসা হল আমিনুল ইসলাম খানকে। তাঁর অধীনেই পড়ে সন্দেশখালি থানা। হাওড়া গ্রামীণের ডিএসপি পদে আসলেন অমিতাভ কোনার। লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এই অফিসারদের বদলি করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এখন নির্বাচন মিটে গিয়েছে। আদর্শ আচরণবিধিও উঠে গিয়েছে। এখন আর নির্বাচন কমিশন হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এখন প্রশ্ন হল, রাজীব কুমারকে কি ডিজি পদে ফেরানো হবে?
আরও পড়ুন: মন্ত্রীদের তিনটি পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী, শপথ নেওয়ার পরই মোদীর বিশেষ টিপস
অন্যদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, এখনই রাজীব কুমারকে ডিজি পদে ফেরানো হবে না। কারণ ১০ জুলাই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। তাই আবার বদলি করে দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। তাই যেগুলি আর পরিবর্তন করা হবে না সেগুলি ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগের (আইবি) যুগ্ম সহকারী ডিরেক্টর করা হয় আমিনুল ইসলাম খানকে। আর তাঁর জায়গায় পাঠানো হয় অমিতাভ কোনারকে। তিনি ছিলেন হাওড়া গ্রামীণের ডিএসপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকের পরই এই রদবদলের কথা জানা যায়।
এছাড়া ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় রাজীব কুমারকে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ভোট মিটতেই তাঁকে আবার সেই পদে ফিরিয়ে এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবার এখনও তেমন ঘটনা ঘটেনি। আর মানিকতলা বিধানসভার উপনির্বাচন থাকায় এখনই রাজীব কুমারকে ডিজি পদে ফেরালে তাঁকে আবার নির্বাচন কমিশন সরানোর প্রস্তাব দিতে পারে। সেটা চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর।