রাজ্যে এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের ফলে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে শাসক দল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পঞ্চায়েত এবং পুরসভার কাজের ক্ষেত্রে ই টেন্ডারিং বাধ্যতামূলক করল নবান্ন। বুধবার অর্থ দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েত বা পুরসভায় এক লক্ষ টাকার কোনও কাজের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে ই টেন্ডারিং করাতে হবে।
টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ বহুদিনের। অর্থের বিনিময়ে পছন্দের ঠিকাদারকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। এই অবস্থায় শাসকদলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সামনে আনার জন্যই অর্থ দফতরের তরফে ই টেন্ডার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থ দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র সরকারি দফতরে নয়, স্বশাসিত সংস্থা, আন্ডারটেকিং এবং বিভিন্ন দফতরের মধ্যে নিয়ে থাকা সংস্থা এবং উন্নয়ন পর্ষদগুলিকেও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। পছন্দের ঠিকাদারদের কাজের বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় সরকারি অর্থ নষ্ট হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে ই টেন্ডার সেই অপচয় নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
যদিও ই টেন্ডারিং ব্যবস্থা এই প্রথম নয়। প্রথম ই টেন্ডারিং ব্যবস্থা চালু হয়েছিল পূর্ত দফতরে। ২০১২ সালে পূর্ত দফতরে ৫০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি অঙ্কের কাজের ক্ষেত্রে ই টেন্ডারিং ব্যবস্থা চালু করে হয়েছিল। পরের বছর এই ই টেন্ডারিংয়ের অঙ্ক ৫০ লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে ৫ লক্ষ টাকায় করা হয়। কিন্তু, তারপরেও দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। তারপর দেখা যায় ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের কাজকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে ই টেন্ডারিং এড়ানো হচ্ছিল। ফলে দুর্নীতি থেকেই যাচ্ছিল। সেই কারণেই তা কমিয়ে এক লক্ষ টাকা করা হয়। এরফলে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে বলেই মনে করছে আধিকারিকরা।