বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে পঞ্চায়েতের প্রবেশ নিষেধ,তৃণমূল কর্মীদের ওপরেই আস্থা নেই মমতার?

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে পঞ্চায়েতের প্রবেশ নিষেধ,তৃণমূল কর্মীদের ওপরেই আস্থা নেই মমতার?

নদিয়ায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম তুলতে মহিলাদের ভিড়। (PTI)

নবান্নের এহেন নির্দেশে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নিজের দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ওপরেই ভরসা নেই মুখ্যমন্ত্রী? এই নির্দেশে কি দলের নীচের তলায় উচ্চতর নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণহীনতা প্রকাশ্যে চলে এল না?

রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে দলের নেতাদের কাটমানি খাওয়া রুখতে আগেই তৎপর হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবু বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিক্রির অভিযোগ আসছিল নবান্নে। সেই প্রবণতা রোধে এবার আরও কড়া নির্দেশ জারি করলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে যুক্ত থাকতে পারবেন না কোনও পঞ্চায়েত সদস্য বা স্থানীয় কোনও ক্লাব।

গত ১৬ অগাস্ট থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিলি। ফর্মে জালিয়াতি রুখতে ইউনিক নম্বর বসানোর ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। তার পরও বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূলেরই লোকজন টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ পৌঁছেছে নবান্নেও। তার পরই জারি হয়েছে নতুন নির্দেশিকা।

নতুন নির্দেশিকা অনুসারে কোনও পঞ্চায়েত সদস্য বা কোনও ক্লাব লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম তোলা বা পূরণের ব্যাপারে কাউকে সাহায্য করতে পারবে না। প্রয়োজনে সাহায্য করতে পারবে কন্যাশ্রী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা, আশা কর্মীরা।

নবান্নের এহেন নির্দেশে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নিজের দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ওপরেই ভরসা নেই মুখ্যমন্ত্রী? এই নির্দেশে কি দলের নীচের তলায় উচ্চতর নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণহীনতা প্রকাশ্যে চলে এল না? কেন নীচের তলার দুর্নীতি রুখতে পারছেন না মমতা।

বিজেপির কটাক্ষ, টাকা কামানো ছাড়া কারও কাছে তৃণমূলে থাকার অন্য কোনও কারণ নেই। নীতি-আদর্শহীন দলে যে কোনও সাংগঠনিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। তাই পঞ্চায়েতের লোকেদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন মমতা।

 

বন্ধ করুন