বাংলার ছেলেমেয়েরা অলিম্পিকসে সোনা জিতবে। এই স্বপ্ন দেখেন তিনি। তাই নানা ধরনের খেলা এখন বাংলায় চালু হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্টেডিয়াম থেকে খেলার মাঠ এবং পরিকাঠামো থেকে সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। যাতে বাংলার ছেলে–মেয়েরা অলিম্পিকে গিয়ে সোনা জিততে পারে। খেলাধূলা শিখে স্পোর্টস কোটায় চাকরি পায় তাঁরা। এই স্বপ্ন দেখেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। অলিম্পিকসে অথবা বিশ্ব স্তরের কোনও প্রতিযোগিতায় পদক মিললেই এবার সরাসরি ডিএসপির চাকরি জুটবে। রাজ্য পুলিশে চাকরি পাবেন বাংলার ছেলে–মেয়েরা।
নবান্নের পক্ষ থেকে এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও নানা প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। ওইসব বঙ্গসন্তানদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এই পদে চাকরি করতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না তো? আইনি জটিলতা তৈরি হবে না তো? এই প্রশ্ন যখন উঠছে রাজ্য–রাজনীতিতে তখন স্পোর্টস কোটায় সরাসরি ডিএসপি, ইনস্পেক্টর অথবা এএসআই নিয়োগ নিয়ে একটি খসড়া রিপোর্ট তৈরি করে ফেলা হয়েছে। জাতীয় স্তরে পদক জিতলে মিলবে ইনস্পেক্টরের চাকরি। আর রাজ্য স্তরে পদক জিতলে মিলবে এসআই বা এএসআই পদে চাকরি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বাংলার বহু কৃতী ক্রীড়াবিদ। বাংলার সন্তানদের খেলায় উৎসাহ দিতেই এমন পদক্ষেপ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
আরও পড়ুন: পুলিশ কনস্টেবলের সততায় দুশ্চিন্তা কাটল ব্যক্তির, ফেরত পেলেন টাকা ভর্তি মানিব্যাগ
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছিল বিদেশ সফরে গিয়ে লা–লিগা ফুটবল অ্যাকাডেমির সঙ্গে কথা বলতে। যাতে তাঁরা বাংলায় এসে ফুটবলের প্রশিক্ষণ দেন। কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম সেটার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন বাংলায় গড়ে উঠেছে অ্যাকাডেমি। যেখানে ফুটবল থেকে শুরু করে খো খো, তিরন্দাজি, ক্যারাটে–সহ নানা খেলা শেখা যায়। যা আগে ছিল না। আবার রাজ্য পুলিশের কর্মীরাও যাতে পদক জেতেন তাই উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তুলছে রাজ্য সরকার। বাংলার সন্তানরা অলিম্পিকসে যাতে অংশ নিতে পারেন সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। চাকরি দিতেও প্রস্তুতি নিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
নবান্নের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই পুলিশের পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় স্পোর্টস কোটায় সরাসরি ডিএসপি, ইনস্পেক্টর এবং এএসআই পদে নিয়োগের ব্যবস্থা আছে ভিন রাজ্যে। সেখানে কেমন করে তা করা হয় সেটা জানতে খোঁজ নিতে শুরু করেছেন অফিসাররা। নবান্ন সূত্রে খবর, স্পোর্টস কোটায় চাকরি নিয়ে তিনটি ভাগ থাকবে। এক, অলিম্পিকসে বাংলার সন্তান পদক জিতলেই তাঁকে ডিএসপির চাকরি দেওয়া হবে। দুই, যাঁরা স্নাতক নন তাঁরা চাকরি পাওয়ার ১০ বছরের মধ্যে স্নাতকস্তরে পাশ করতে হবে। তিন, জাতীয় স্তরের কোনও খেলায় পদক পেলে মিলবে পুলিশের চাকরি।