রাজ্য সরকারকে মানুষের সেবায় দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার গ্রামগঞ্জে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাবেন সরকারি অফিসাররা। নবান্নে এই নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এমনকী নতুন একটি ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। এই টিম বা ইউনিট প্রতিটি জেলার প্রতিটি গ্রামের মানুষের বাড়িতে যাবে। সেখানে গিয়ে সরকারি প্রকল্প পাচ্ছে কিনা মানুষ থেকে শুরু করে সমস্যার কথা জানবেন। তার ভিত্তিতে রিপোর্ট পেশ করবেন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে বলে সূত্রের খবর।
কেন এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এমনকী একাধিকবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েতের এই দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছেন। বিরোধীরা তো সমালোচনা করেই চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল ফল করতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। গ্রামেগঞ্জে সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা মানুষের নাগালের মধ্যে আসছে কি না, তা জানার জন্য মানুষের দুয়ারে পৌঁছনোর পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। তাই নবান্ন একটি ইউনিট গঠন করেছে। তার নাম রাখা হয়েছে সিটিজেন রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট ইউনিট। এই ইউনিটই সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে মানুষের অভাব–অভিযোগ শুনতে চায় নবান্ন।
আর কী জানা যাচ্ছে? নবান্ন সূত্রে খবর, এই ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত সরকারি অফিসাররা মানুষের দরজায় গিয়ে কড়া নাড়বেন। প্রত্যেকের বাড়িতে পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন। সামাজিক প্রকল্পগুলির সুবিধা মানুষ ঠিকঠাক পাচ্ছে কি না সেটা জানবেন। একইসঙ্গে কোনও অভাব বা অভিযোগ আছে কি না সেটাও শুনবেন তাঁরা। এমনকী আর কী হলে ভাল হয় সে কথাও জানতে চাইবেন তাঁরা। সবকিছু খতিয়ে দেখবে এই ইউনিট।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ জানতে অনেক আগেই নবান্ন একটি গ্রিভান্স সেল গঠন করেছিল। ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ওই সেলে ১১ লক্ষেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার বেশিরভাগেরই সমাধান হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি পঞ্চায়েতগুলিকে সমস্যা সমাধানের উপর বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। এবার এই ইউনিটের রিপোর্ট পেলে বাকি কাজগুলিও করে দেওয়া হবে।