বাংলা আবাস যোজনা বা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ইতিমধ্যেই উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। সিংহভাগ উপভোক্তাই এই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। তবে এখনও কয়েক লক্ষ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই সমস্ত প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিল নবান্ন। শুধু তাই নয়, টাকা পাওয়ার পর উপভোক্তারা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন কিনা সে বিষয়ে নজরদারির জন্য ব্লকস্তরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আবাস যোজনার টাকা কবে আসবে উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে? বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের
রাজ্য সরকারের লক্ষ্য রয়েছে ১২ লক্ষ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টেই আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা পৌঁছে দেওয়া। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৮ লক্ষ ২২ হাজার প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে পৌঁছে গিয়েছে। বাকি সাড়ে তিন লক্ষের বেশি প্রাপকের অ্যাকাউন্টে আগামীকাল থেকে টাকা ঢুকতে শুরু করবে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, তথ্য যাচাইয়ের কাজে কিছু ত্রুটি থাকার কারণে এইসব অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে দেরি হয়েছে। টাকা পাঠানোর বিষয়ে সোমবার রাজ্যের সব জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথন। সেখানে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, বাড়ি নির্মাণের উপর নজরদারি চালাতে হবে। প্রথম কিস্তির টাকায় বাড়ির বিম বা লিন্টেল পর্যন্ত নির্মাণ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর দ্বিতীয় কিস্তির টাকায় পুরো নির্মাণ শেষ করতে হবে।
বৈঠকে জানানো হয়েছে, টাকা হাতে পাওয়ার পরেই উপভোক্তারা দ্রুত কাজ শুরু করেন সেবিষয়ে পঞ্চায়েত আধিকারিকদের নিয়মিত উৎসাহিত করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে আবাসের টাকা পেয়ে প্রাপকরা অন্য কাজে ব্যবহার করছেন। তাই নিয়মিত নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছুটির মরশুমে অনেক কর্মীরা ছুটি নিয়ে থাকেন। ব্যাঙ্কের কর্মীরাও ছুটি নিয়ে থাকেন। তার উপর এই বিপুলসংখ্যক অর্থ লেনদেনের ফলে ব্যাঙ্কের উপর চাপ বাড়ছে। এছাড়াও, কেওয়াইসি আপডেট না থাকা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার বা মোবাইল সংযোগ না থাকার ফলে অনেক ক্ষেত্রে টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে উপভোক্তাদের। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা দেওয়া শেষ করতে হবে। যেভাবে কাজ চলছে তাতে মনে হচ্ছে বৃহস্পতিবারের মধ্যে অধিকাংশের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে।