শত অসুবিধাতেও উন্নয়নের কাজ যেন থমকে না থাকে। এটাই ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ। এবার রাজ্যের মানুষের জন্য মানবিক প্রকল্পগুলি চালানো থেকে শুরু করে গ্রামীণ পরিকাঠামোর উন্নয়ন, মানুষের কর্মসংস্থান এবং আর্থিক ভিত্তি মজবুত করতে পদক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থ দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গ্রামীণ উন্নয়নের কাজে যুক্ত দফতরগুলিকে এই টাকা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নবান্নের কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ব্যয় সংকোচ করতে হবে। অযথা খরচ বন্ধ করতে হবে। সামাজিক প্রকল্পগুলি চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য মেলেনি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ভেত্রেও একই ছবি। জিএসটি’র প্রাপ্য টাকাও বাকি। তাই বাজেট বহির্ভূত খরচ না করা যাবে না।
রাজ্যে সামাজিক প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে নিদান দিয়েছিলেন তিনি। মানুষের হাতে যাতে অর্থ পৌঁছয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন তিনি। আর এই কথা মাথায় রেখে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাতে একদিন গ্রামীণ উন্নয়ন অন্যদিকে সামাজিক প্রকল্পের বাস্তবায়ন করতেই এই বরাদ্দ করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। কৃষক বাজার, কর্মতীর্থ, পথসাথী ব্যবহার না হয়ে পড়ে থাকার জন্যও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন সূত্রে খবর, একসঙ্গে সবদিক বজায় রাখতে ৪৮৬ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। সেই টাকা দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের ৯টি দফতরকে। রাজ্যে ‘রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট ফান্ড’–এর অধীনে চলা প্রকল্পগুলির জন্যই এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে। সব থেকে বেশি অর্থ পাচ্ছে পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দফরর। প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা। তারপরই আছে পূর্ত। বিদ্যুৎ দফতরকে দেওয়া হচ্ছে ৪০ কোটি টাকা। জলসম্পদ পাচ্ছে ৩৫ কোটি টাকা। সমবায় দফতরকে দেওয়া হচ্ছে ২৫ কোটি টাকা। সেচ পাচ্ছে ২২ কোটি, কারিগরী শিক্ষায় ব্যয় করা হচ্ছে ১৫ কোটি, খাদ্য দফতর ১৩ কোটি এবং প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর পাচ্ছে ৬ কোটি টাকা।