কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই এখন রাজ্যে জাঁকিয়ে বসেছে। রাজ্যের নেতা–মন্ত্রীদের তলব করা থেকে শুরু করে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্বচ্ছ প্রশাসন তুলে ধরতে সরকারি অফিসারদের জন্য অন্তবর্তী নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সঠিক সময়ে সম্পত্তির হিসাব জমা দিতে হবে সরকারি অফিসারদের। এতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে।
ঠিক কী ঘটেছে নবান্নে? নবান্ন সূত্রে খবর, সরকারি অফিসারদের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য জানতে ‘ইন্টার্নাল অর্ডার’ জারি করা হয়েছে। এটা একটা নিয়ম রয়েছে। তারপরও অনেকেই সম্পত্তির হিসাব প্রত্যেক বছর দিচ্ছেন না। সম্প্রতি ইডি’র তালিকায় কয়েকজন আইপিএস অফিসারের নাম উঠে এসেছে। তারপরই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। তখনই সম্পত্তির হিসাব দাখিল করার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি গ্রেফতার করেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আর গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করেছে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এই পরিস্থিতিতে দল এবং সরকারের মধ্যে জোর চর্চা হয়েছে। এমনকী অনেক অফিসারের নাম নিতে শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই অফিসারদের ক্ষেত্রে সম্পত্তি জানানোর নির্দেশিকা জারি করা হবে। আর হলও তাই।
ঠিক কী করেছে ইডি? ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের ৮ আইপিএস পদমর্যাদার অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নয়াদিল্লির দফতরে তলব করা হয়েছে। ১৫ অগস্টের পর এই মাসে বিভিন্ন দিনে তলব করা হয়েছে ওই ৮ আইপিএস অফিসারকে। তালিকায় নাম রয়েছে—জ্ঞানবন্ত সিং, সুকেশ জৈন, রাজীব মিশ্র, তথাগত বসু, সিলভান মুরগান, স্যাম সিং, কোটেশ্বর রাও এবং ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। ২১ থেকে ৩১ অগস্টের মধ্যে এই পুলিশ কর্তাদের নয়াদিল্লির ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।