আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন–অনশন উঠে গিয়েছে। আর রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছে একাধিক দাবি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার পরই জট কেটে গিয়েছিল। নিরাপত্তা থেকে নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তারপরই এল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। সেটা কেটে গিয়েছে। বাংলায় দুর্যোগের প্রভাব পড়লেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বড় আকার নেয়নি। আর এই আবহেই নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। নতুন এবং শূন্যপদ মিলিয়ে মোট ১০০টি পদে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের যা কথা দিয়েছিলেন তা অক্ষরে অক্ষরে রক্ষা করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহর থেকে জেলায় প্রত্যেকটি সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সময়সীমার আগেই পূর্ত দফতরকে দিয়ে সেই কাজ শেষ করা হয়েছে। তার ছবিও তুলে রাখা হয়েছে। ৩১ অক্টোবর তারিখের মধ্যে সব কাজ শেষ করার কথা ছিল। আর এই তথ্য ও ছবি সুপ্রিম কোর্টে জমা করবে রাজ্য সরকার বলে সূত্রের খবর। সেখানে গতকাল বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের ১৮টি নতুন পদ এবং ১৬টি শূন্যপদে চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ত্রিকোণ প্রেমের জেরে আত্মঘাতী প্রেমিক, নেপথ্যে কোন ঘটনা আছে? আটক প্রেমিকার মা
এই নিয়োগ হয়ে গেলে আরও নিয়োগ করা হবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা–সহ নানা দফতরে। স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীন কর্মবন্ধ প্রকল্পে ৫৭ জনকে নেওয়া হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। আর তার সঙ্গে জলসম্পদ দফতরে সাতজন, পরিবেশ দফতরে ১ জন এবং অর্থ দফতরে ১ জনের নিয়োগের অনুমতি মিলেছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১০০টি নতুন ও শূন্যপদে নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। স্বাস্থ্য দফতরে এবার বড় নিয়োগ হতে চলেছে। আর সেটা যে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তা বাস্তবায়িত করার পথে হাঁটলেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, কৃষিক্ষেত্রেও নিয়োগের বিষয় নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। একইসঙ্গে কৃষিকাজে ব্যয় করতে রাজ্য কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্ককে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নাবার্ড ও রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে এই ঋণ নেওয়া যাবে। যার গ্যারান্টার থাকবে রাজ্য সরকার। আবার বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দুর্গাপুরে ডিপিএলে ৬৬০ মেগাওয়াটের সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। এমনকী এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জমি লিজে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। নিউটাউনে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে প্রায় সাড়ে ৩ একর জমি দেওয়া হবে।