ফেব্রুয়ারি মাসে আবার দুয়ারে সরকার ও পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে রাজ্যজুড়ে। সেখানেই জমা নেওয়া হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আবেদন। তবে এবার থেকে এই প্রকল্পে আবেদন করতে গেলে আবেদনকারীর নিজের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টকে গ্রাহ্য করা হবে না। আগেরবার অনেক জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট–সহ আবেদন জমা পড়ায় ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল প্রশাসনিক কর্তাদের।
এই সিঙ্গল অ্যাকাউন্টের বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন নিয়ম সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। গত অগস্ট–সেপ্টেম্বর মাসে হওয়া দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। প্রতি মাসের ৩ তারিখের মধ্যে আবেদনকারী তফসিলি জাতি ও উপজাতি মহিলাদের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টে সরাসরি চলে যায় এক হাজার টাকা। আর অন্যান্যরা পান ৫০০ টাকা।
নবান্ন সূত্রে খবর, এই বিষযটি নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। দুয়ারে সরকারের বৈঠকের পরই মুখ্যসচিব নতুন নিয়ম সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছেন। এবার ‘সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট’ থাকা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। বৈঠক থেকে সব জেলাশাসক ও সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের এই মর্মে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, সামাজিক পেনশন ও খাদ্যসাথী প্রকল্পের ক্ষেত্রে আধার নম্বর সংযোজন করাকেও বাধ্যতামূলক করা হল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী এবং সামাজিক পেনশনের ক্ষেত্রে যদি কারও একক নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেই তা খোলা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, পাড়ায় সমাধানের ক্ষেত্রে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তত দুই থেকে তিনটি করে ক্যাম্প করা হবে। পাড়ায় সমাধানের ক্ষেত্রে যে সব কাজের ছাড়পত্র দেওয়া হয়ে গিয়েছে, তা দ্রুত শুরু করতে বলা হয়েছে। দফতরগুলিকে এই কারণে অর্থ বরাদ্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবারের দুয়ারের সরকার ক্যাম্পে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য আলাদা করে কাউন্টার করা হবে।