প্রত্যাশিতই ছিল। শোনা যাচ্ছিল গুঞ্জন। আর সেই গুঞ্জনই এবার সত্যি হল। শুরু হয়ে গেল রদবদল। তবে এটা প্রশাসনিক পর্যায়ে। দলের সংগঠনের রদবদল এখনও বাকি। আজ, বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান পদে রদবদল করল নবান্ন। এই পদে ছিলেন পিবি সেলিম। তাঁকে ওই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। আর ওই পদে নতুন দায়িত্ব দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ইটাহারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনকে। সেক্ষেত্রে দল এবং প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন পিবি সেলিম নিজেই।
একবছর পর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তাই সংখ্যালঘুদের জন্য যেসব কাজ বাকি আছে তা দ্রুততার সঙ্গে করতেই মোশারফ হোসেনকে চেয়ারম্যান করা হল। একইসঙ্গে সংখ্যালঘুদের কাছে একটা মুখও তুলে ধরা হল। সেক্ষেত্রে সরাসরি সরকারের সঙ্গে একটা যোগাযোগ স্থাপন করা গেল। তবে পিবি সেলমিকে সরিয়ে দিলেও রাজ্যের সংখ্যালঘু দফতরের প্রধান সচিব হিসাবে থাকলেন। সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান পদ তাঁর অতিরিক্ত দায়িত্ব ছিল। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কয়েকটি বদল করা হয়েছে। প্রাক্তন কমিটি থেকে প্রায় সকলকেই সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। এই পরিবর্তনের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: হিন্দু সংহতির কোপে পড়লেন অমিত মালব্য, ২৫ কোটি টাকার মানহানি মামলার নোটিশ
মেয়াদ যখন ফুরাবে ততক্ষণে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন হয়ে ফলাফল ঘোষণা হয়ে যাবে। তারপর আবার পরিবর্তন বা রদবদল হতে পারে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এই রদবদল করা হয়েছে সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমে বলে সূত্রের খবর। তাঁর জায়গায় সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান করে আনা হল উত্তরবঙ্গের সংখ্যালঘু নেতা তথা বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে। উত্তরবঙ্গে আরও ভাল ফল করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই পদে এমন রদবদল করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক একটা বড় ফ্যাক্টর পশ্চিমবঙ্গে। তা হাতছাড়া করতে চান না শাসক–বিরোধী দু’পক্ষই। সংখ্যালঘু মানুষজন এখন জানতে পারছেন স্থানীয় বিধায়কই এখন সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান। সুতরাং পরিষেবা মিলবে দুয়ারে। যদিও নতুন দায়িত্ব পেয়ে বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেটা ভালবেসে পালন করব। রাজ্যে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন করতে আমি অলিতে গলিতেও যাব। মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য নিজেও অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তবে কিছু কাজ বাকি আছে। তাই আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি মানুষের চাহিদা বুঝে কাজ করব। সংখ্যালঘু সমাজকে আমি আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।’