অপরাধ করে ভিনরাজ্যে পালিয়ে যাওয়া দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে এখন থেকে বিমানের টিকিটের জন্য আর অভিযোগকারীর দ্বারস্থ হতে হবে না কলকাতার পুলিশ অফিসারকে। কারণ এই সংক্রান্ত খরচের জন্য একটি পৃথক খাত তৈরি করল নবান্ন। অতীতে কলকাতায় অপরাধের তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন আনুষাঙ্গিক খরচের টাকা পেতে বেগ পেতে হতো তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের। এবার থেকে আর তা করতে হবে না।
বিষয়টি ঠিক কী হয়েছে? প্রশাসন সূত্রে খবর, খাত না থাকলে সরকারি কোষাগার থেকে কোনও টাকা তোলা বা জমা দেওয়া যায় না। যার জেরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে সমস্যায় পড়তে হতো তদন্তকারী সংস্থাকে। আপৎকালীন ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের কর্তাদের ‘সিক্রেট সোর্স ফান্ড’ থেকে টাকা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হতো। তার জেরে দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ে অভিযোগ ছিল গোয়েন্দাদের। তবে এবার পৃথক খাত তৈরি হওয়ায় আর অসুবিধা হবে না।
পৃথক খাত তৈরির নেপথ্য কাহিনী কী? এই বিষয়ে সৌমেন মিত্র কলকাতার পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন ২০২১ সালে অসুবিধা দূর করতে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে একটি লিখিত প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। যার ভিত্তিতে নবান্নের অর্থ দফতর এই সংক্রান্ত একটি পৃথকখাত তৈরি করেছে। তার জেরে এখন থেকে কলকাতা পুলিশের এলাকায় তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়ার আনুষাঙ্গিক খরচের টাকা পেতে আর সমস্যা রইল না বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? লালবাজার সূত্রে খবর, সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ এই সংক্রান্ত একটি ‘স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়র’ তৈরি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এখন থেকে ভিনরাজ্যে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে গেলে হোটেলে থাকা–খাওয়া খরচ, যাতায়াতের জন্য বিমান ভাড়া, ওলা-উবর থেকে শুরু করে বেসরকারি গাড়ি ভাড়ার খরচ, ধৃত অপরাধীর জন্য ডাক্তার এবং ওষুধের দাম থেকে মামলার জন্য ফটোকপি করার খরচ সব মিলবে। এমনকী মামলার জন্য পেশাদার বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতেও খরচ দেওয়া হবে তদন্তকারী অফিসারকে। তবে এই টাকা পেতে আবেদন করতে হবে এসওপিতে বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup