বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Gangasagar Mela: গঙ্গাসাগর মেলা কি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেতে চলেছে?‌ উদ্যোগী হল নবান্ন

Gangasagar Mela: গঙ্গাসাগর মেলা কি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেতে চলেছে?‌ উদ্যোগী হল নবান্ন

গঙ্গাসাগর মেলা (ছবি, সৌজন্যে পিটিআই) (PTI)

এখন যাত্রা মসৃণ করতে মুড়িগঙ্গায় পলি তোলার কাজ চালাচ্ছে সেচ দফতর। আর বাবুঘাট থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত মোট ১১টি বাফার জোন করা হচ্ছে। যাতে বহু পথ অতিক্রম করার সময় এখানে বিশ্রাম নিতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। এখানে থাকছে পানীয় জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা। থাকছে মোট ১৩২টি ভেসেল ও লঞ্চ।

বাংলার দুর্গাপুজো ইতিমধ্যেই ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। তা নিয়ে রাজ্যে উন্মাদনাও দেখা যায়। এবার গঙ্গাসাগর মেলা যাতে একই স্বীকৃতি পায় তার জন্য উদ্যোগী হল নবান্ন। রাজ্যের গর্বের মুকুটে নয়া পালকের সন্ধানে তৎপর হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাসাগর মেলার জন্য ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে দিনরাত এক করে কাজ শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। এমনকী নবান্নের পক্ষ থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে বলা হল জেলা প্রশাসনকেও।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে ২২টি দফতরের সচিব এবং জেলা প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, গঙ্গাসাগর মেলার জন্যও ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। এই মেলার ঐতিহ্যের উপর একটি নথি তৈরি করা হবে। আর সেই নথির উপর ভিত্তি করে একটি ভিডিও ডকুমেন্টরি তৈরির করার কথা ভাবা হচ্ছে। এমনকী আগে গঙ্গাসাগর নিয়ে প্রকাশিত তথ্য একত্রিত করা হবে। সেগুলি তুলে দেওয়া হবে ইউনেস্কোর আধিকারিকদের হাতে। মকর সংক্রান্তির দিন সাগর সঙ্গমে পুণ্যস্নানের বিষয়টি তুলে ধরা হবে।

কেন এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?‌ ইতিমধ্যেই ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে কুম্ভমেলা। তাই গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রেও একই তকমা চায় রাজ্য সরকার। কারণ এখানের সঙ্গে কোনও রেল বা সড়ক পথের যোগাযোগ নেই। পৌঁছতে হয় মুড়িগঙ্গা পার করে। এই কঠিন পথ অতিক্রম করে লক্ষাধিক মানুষ আসেন প্রত্যেক বছর। তাঁদের সহযোগিতা করে থাকে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, এই বছর কচুবেড়িয়া, লট নম্বর ৮ এবং নামখানা–সহ মুড়িগঙ্গার দু’পারে ন’টি স্থায়ী জেটির পাশাপাশি ১১টি অস্থায়ী জেটিও লাগানো হবে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এখন যাত্রা মসৃণ করতে মুড়িগঙ্গায় পলি তোলার কাজ চালাচ্ছে সেচ দফতর। আর বাবুঘাট থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত মোট ১১টি বাফার জোন করা হচ্ছে। যাতে বহু পথ অতিক্রম করার সময় এখানে বিশ্রাম নিতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। এখানে থাকছে পানীয় জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা। থাকছে মোট ১৩২টি ভেসেল ও লঞ্চ। পুণ্যার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি বাসের পাশাপাশি ২২০টি প্রাইভেট বাসও কাজে লাগাবে রাজ্য। মেলায় থাকছে ৩০০ বেডের হাসপাতাল এবং এয়ার ও ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে।

বন্ধ করুন