স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এখন প্রশাসনিক তৎপরতা বেড়েছে। কিন্তু কারণটা জানলে অনেকেই চোখ কপালে উঠবে। এখানে কার্ড করানোর থেকে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে ভুয়ো বা জাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করা। এই আশঙ্কা করেই নবান্নের কর্তারা তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছেন। এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে সন্দেহ রাজ্য প্রশাসনের। তাই ডিজিটাল রেশন কার্ডের মতো স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ক্ষেত্রেও বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে নবান্ন বলে সূত্রের খবর।
নবান্ন সূত্রে খবর, এখন থেকে ঠিক করা হচ্ছে সমস্ত নথিপত্র ঠিক না থাকলে এই কার্ড ব্লক করে দেওয়া হবে। কারণ তাহলে আর একজন বৈধ উপভোক্তা এই পরিষেবা পেতে পারবে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২.৩০ কোটি পরিবার স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেয়েছেন। কিন্তু এমন অনেক আবেদন রয়েছে যাঁদের আধার কার্ডের নম্বর উল্লেখ করা নেই। সেই সংখ্যাটাও অন্তত ৫০ লক্ষ। এখান থেকেই সন্দেহ শুরু হয়। তার পরই শুরু হয় ভুয়ো কার্ড ধরতে তৎপরতা।
একদিকে রাজ্যের মানুষের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া এবং ভুয়ো কার্ডের মাধ্যমে যেন সরকারের ফালতু খরচ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নবান্নের এক আধিকারিক বলেন, ‘এই প্রকল্প সবার জন্যই। কিন্তু জালিয়াতি করার জন্য নয়। মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পান এটা মুখ্যমন্ত্রী চান। কিন্তু সেই পরিষেবা পেতে কার্ড জাল করা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়।’ তাছাড়া ভুয়ো কার্ড ধরে বাতিল করতে পারলে রাজ্যের কোষাগারে চাপ কম পড়বে।
জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের প্রধান বাড়ির মহিলারা। বাকিরা সংশ্লিষ্ট বাড়ির মহিলার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হবেন। কিন্তু একক উপভোক্তা এমন অনেক আছে। যা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। তাঁদের অনেকে আবার মহিলা নন। অথচ সামনে রাখা হয়েছে কোনও মহিলাকেই। এটাই সন্দেহের মূল কারণ। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের নবান্ন নির্দেশ দিয়েছে, প্রতি উপভোক্তার আধার নম্বর সংগ্রহ করতে হবে। আর তা মূল তথ্যভাণ্ডারে সংযুক্ত থাকবে। একমাত্র সব ন্যায্য উপভোক্তারা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তার পর থেকেই বেড়েছে জোর তৎপরতা।