এনডিএ–এর তরফে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে যশবন্ত সিনহার নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। এর মধ্যে এনডিএ–এর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, ‘ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা ওড়িশার প্রাক্তন বিধায়ক দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ২০১৭ সালেই রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রস্তাব করেছিলাম। যে তিন জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল, তাঁরা হলে নাজমা হেফাতুল্লা, দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রণব মুখোপাধ্যায়। এরজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল।’ প্রধানমন্ত্রীকে লেখা সেই চিঠির প্রতিলিপিও দেখান কুণালবাবু। ইতিমধ্যে বিজু জনতা দলের পক্ষ থেকে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নীতীশ কুমারের জেডিইউয়ের তরফেও দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করার কথা আনানো হয়েছে। ক্রমশই এনডিএ–এর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর দিকেই পাল্লা ভারী হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের মতো বিরোধী দলের মুখপাত্রের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে এনডিএ–এর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার পরই এই প্রসঙ্গে ৬৪ বছর বয়সি দ্রৌপদী মুর্মু জানান, ‘আমি যেমন বিস্মিত, তেমনি আনন্দিত। প্রত্যন্ত ময়ূরভঞ্জ জেলার এক আদিবাসী মহিলা হিসাবে আমি দেশের শীর্ষপদে প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবিনি।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘এনডিএ সরকার দেশের শীর্ষ পদের জন্য একজন আদিবাসী মহিলাকে বেছে নিয়ে বিজেপির সব কা সাথ সব কা বিশ্বাস স্লোগানকেই প্রমাণ করেছে।’