কলকাতার মানিকতলার কাছে বাগমারি রোডের একাংশের নাম রাখা হয়েছে বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকির নামে। সেই রাস্তার নামকরণের ফলকে নাম রয়েছে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের। নাম রয়েছে সরকারি আধিকারিকদেরও। আর সেই শ্বেতপাথরের ফলকে জ্বলজ্বল করছে অপর একটি নাম। আর সেটি হল প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পান্ডের মেয়ে শ্রেয়া পান্ডের নাম। কনভেনার হিসাবে তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে রাস্তার ফলকে দলীয় কোনও নেতা নেত্রীর নাম দেওয়া কতটা যুক্তিসংগত? রাস্তাটা তো কোনও দলের নয়? সেক্ষেত্রে সেই রাস্তার নামে শ্রেয়া পান্ডের নাম কেন? এনিয়ে তুমুল বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এদিকে মন্ত্রী বেঁচে থাকাকালীনও শ্রেয়া পান্ডে দলের নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতেন। মন্ত্রী যখন অসুস্থ ছিলেন তখনও তিনি দলের নানা কাজ সামলেছেন। আর তিনি বর্তমানে মানিকতলা বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের আহ্বায়ক। এখানেই প্রশ্ন দলের পদে থেকে সরকারি ফলকে তাঁর নাম কেন? এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরাও।
তবে গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও। বিষয়টি নিয়ে যে জলঘোলা হচ্ছে তা টের পেয়েছেন তাঁরাও। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভুলবশত শ্রেয়া পান্ডের নাম ফলকে দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই তা ঠিক করে নেওয়া হবে। এদিকে প্রয়াত মন্ত্রীর স্ত্রী সুপ্তি পান্ডে জানিয়েছেন, কেউ ভালোবেসে শ্রেয়ার নাম দিয়ে থাকতে পারে। তবে বিরোধীদের প্রশ্ন দল আর সরকারকে বার বারই গুলিয়ে ফেলে শাসকদল। এটাও তারই একটি নমুনা।