মুখে স্বীকার না করলেও শুভেন্দু অধিকারী ছেড়ে দেওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসে যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। শনিবার তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘কোনও প্রভাব পড়বে না। আমরা শূন্যস্থান ভরাট করে নেব।’ সেটা যদি সহজ হত, তাহলে তিনি কেন মধ্যস্থতাকারী হয়েছিলেন? উঠছে প্রশ্ন। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাকে তিনি মনে করিয়ে দিলেন, ‘নন্দীগ্রামে ৪০ শতাংশ মুসলিম ভোট আছে। জিতবেন কীভাবে! সংখ্যালঘুরা ভোট দেবে না। জিততে কষ্ট হবে।’ কিন্তু আত্মবিশ্বাসের সুরে বলননি যে শুভেন্দুকে বা বিজেপিকে পরাজিত করবে তৃণমূল। তাতেই সিঁদুরে মেঘের ইঙ্গিত দেখছে রাজনৈতিক মহল।
শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহের উপস্থিতিতে মেগা যোগদান পর্ব হয়। বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। হাতে তুলেন নেন পদ্মশিবিরের পতাকা। শনিবার দলবদল করলেন সাংসদ, বিধায়ক–সহ আরও ১০ জন হেভিওয়েট। নতুন দলের পতাকা হাতে নেওয়ার পর মঞ্চে শাহের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেও দেখা যায় একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিককে।
শনিবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘আজকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পার্টিতে যোগ দিলাম। জাতীয়তাবাদ, বহুত্ববাদ, দেশপ্রেমে বিশ্বাস করে এই দল। বসুধৈব কুটুম্বকম, সর্বজন হিতায় সর্বজন সুখায় আদর্শ মেনে চলে।’ অতীত সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে অমিত শাহকে 'বড়ভাই' বলেও সম্বোধন করেন তিনি। শুভেন্দুকে পাশে পেয়ে ফের একবার বিধানসভা ভোটে ২০০–রও বেশি আসন জেতার হুঁশিয়ারি দেন শাহ। মমতাকে কটাক্ষ করে জানান, ভোট যত এগিয়ে আসবে, দিদি, আপনি তত নিঃসঙ্গ হয়ে যাবেন। এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘অমিত শাহ মনে করেন টাকার জোরে, ক্ষমতার জোরে ২০০ আসনে জিতবেন! ভোটের ফল বেরোলেই বুঝতে পারবেন। তৃণমূলের জনভিত্তি আছে। শুভেন্দু বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।’