নারদমামলা স্থানান্তরের মামলায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ করা হবে কি না তা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানাল আদালত। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ৫ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ একথা জানায়। ওই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে পক্ষ করেছে সিবিআই। তাঁদের হলফনামা গ্রহণ করার বিরোধিতা করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
বুধবার হলফনামা গ্রহণের বিরোধিতা করে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, তাঁর সওয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার পর হলফনামা পেশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটক। তাই তাঁদের হলফনামা গৃহীত হওয়া উচিত নয়। পালটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত ছিলেন। যেহেতু হলফনামা প্রদানকারীর সঙ্গে এই মামলার কোনও যোগাযোগ নেই তাই তা গ্রহণ করতে কোনও বাধা থাকার কথা নয়।’
গত ১৭ মে ফিরহাদ হাকিম-সহ নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত ৪ নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারির পর সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সিবিআইয়ের ডিআইজির দফতরের সামনে ধরনায় বসেন তিনি। ফিরহাদদের মুক্তির দাবিতে প্রায় ৬ ঘণ্টা সেখানে বসে ছিলেন তিনি। ওদিকে গ্রেফতার নেতা-মন্ত্রীদের জামিনের শুনানির সময় আদালত চত্বরে হাজির ছিলে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। সিবিআইয়ের দাবি, সংবিধানের শপথ নেওয়া ব্যক্তিরা তদন্তকারী সংস্থার কাজে বাধা দিচ্ছে। এভাবে সত্য সামনে আনা সম্ভব নয়। তাই নারদমামলা ভিনরাজ্যে স্থানান্তরের অনুমতি দিক আদালত।